পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ نوامه د ]

  • পরাক্রান্ত সম্রাট সীজর মৃত্যুর পর কৰ্দমে পরিণত হয় এবং হিমনিবারণার্থ প্রাচীরে লেপনস্বরূপ ব্যবহৃত হয়।” কিন্তু বিজ্ঞান জানে না, যে ব্যক্তি পথের ভিখারী, সে ব্যক্তির আত্মাও অনন্তকালে অনন্ত উন্নতি করে এবং পরিশেষে দেবতায় পরিণত হয় ।

বিজ্ঞানের মতে যেমন জন্মপরিগ্রহের পূৰ্ব্বে মানবের কোনরূপ অস্তিত্ব থাকে না, তিনি চিরান্ধকারে আবৃত থাকেন ; সেইরূপ মৃত্যুর পরও তাহার কোনরূপ অস্তিত্ব থাকিবে না এবং তিনি চিরকালের জন্ত পুনরায় অন্ধকারে আবৃত হইবেন ; কেবলমাত্র দিন কয়েকের জন্ত জগতের পরমাণুপুঞ্জ প্রাকৃতিক নিয়মে একত্রিত হইয়া চৈতন্যবিশিষ্ট জীব উৎপাদন করত: তাহাকে সুখদুঃখের ভাগী করে। যেমন অন্যান্ত জীবজন্তু সংসারে জন্ম লক্ষ ও মৃত্যুমুখে পতিত হয়, সেইরূপ মানবও সংসারে জন্ম লন ও মৃত্যুমুখে পতিত হন ; যেমন উহার মৃত্যুর পর একেবারে লয় প্রাপ্ত হয়, তিনিও সেইরূপ মৃত্যুর পর চিরদিনের জন্ত লয় প্রাপ্ত হন। বিজ্ঞানের মতে কেবল ভ্রান্ত দর্শন ও ভ্রান্ত ধৰ্ম্ম এতকাল এই সকল অলীক মতামত জগতে প্রচার করিয়া রাখিয়াছে এবং নিৰ্ব্বোধ মানবও উহাদের ভ্রান্ত মত গ্রহণপূর্বক আপনার দুৰ্ব্বল মনকে অনেক সময়ে সাত্ত্বনা করিয়া থাকেন মাত্র । * এখন জিজ্ঞাস্ত, যে বিজ্ঞান আমাদের অনন্তকালের অাশা একেৰীরে নিন্মুল করে, উহার কথাই কি অমোঘ সত্য ? বস্তুতঃ কেৰল মরিবার জন্তই কি আমরা এ জগতে অংগমন করি ? আমাদের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, আমাদের মুখদুঃখ সকলই কি একমাত্র মৃত্যুতে পৰ্য্যবসিত ? ক্ষণবিধ্বংসী আধিভৌতিক উন্নতিই কি মানবজীবনের চরম উদ্দেশু ? গুড়বাদী জড়বিজ্ঞান যাহাঁই বলুক না কেন, উহার কথায় কর্ণপাত করা আমাদের কৰ্ত্তব্য নয়। যে বিজ্ঞান ইঞ্জিন্মগ্রাহ স্থল পদার্থ ব্যতীত অন্ত স্বল্প পদার্থ আদৌ বুঝিতে পারে না, সে বিজ্ঞান কি প্রকারে ইঞ্জিয়াতীত পরলোকের বিষয় জানিতে পারে ? তৰে কেন লোকে উহার কথায় বিশ্বাস করে ? উহার কথায় কর্ণপাত না করাই সকলের পক্ষে শ্ৰেয়: । আর যদি উহার কথা প্রমাণ তোমার মনে এরূপ ধারণা হয়, ষে আত্মাও নাই, পরলোকও নাই, এ জগতই সৰ্ব্বস্ব, মৃত্যু হইলে ধূলার শরীর ধূলার মিশ্রিত ছয় ও সব ফুরাইয়া যায়, তুমিই স্বীয় অবিনশ্বর আত্মার সমূল ধ্বংস করিয়া