পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬৯ ] ফেল এবং এই সকল নাস্তিক বাদ প্রচার করতঃ সমগ্র মানবসমাজের সর্বনাশ করিতে উদ্যত হও । যে সকল বিশ্বাস দ্বারা মানবসমাজ এত উপকৃত এবং যন্দ্বারা ইহা এতদিন ধৰ্ম্মপথে এত অগ্রসর, সে সকল বিশ্বাস কি সমাজে কদাচ নিৰ্ম্মল করা উচিত ? পরলোকের অস্তিত্ব লইয়া বিজ্ঞান ও মানবধৰ্ম্মে ঘোরতর বিবাদ দেখা যায় ; কিন্তু পরলোক কি প্রকার, উষ্ঠাতে প্রেতাত্ম। কিরূপ ভাবে বর্তমান থাকে, তাহা লইয়া প্রত্যেক ধৰ্ম্মে বিস্তর মতভেদ আছে । যে সমাজের যেরূপ শিক্ষণ ও দীক্ষা, সে সমাজ পরলোক সম্বন্ধে সেইরূপ মতামত প্রচার করে। কিন্তু দেখা যায়, সকল দেশেই মানবধৰ্ম্ম পর কালে প্রেতাত্মার মঙ্গলের জম্ভ কতকগুলি অবশ্রাগ্রতিপাল্য অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া উপদেশ দেয় এবং জনসাধারণও সেই সকল অনুষ্ঠান অতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির সহিত পালন করে। ইহা মানবের প্রকৃতিসিদ্ধ, যে জাতির.যেরূপ অভিরুচি, সে জাতি পরলোক সম্বন্ধে সেইরূপ কল্পনা করে । অসভ্য শীকারপ্রিয় মানব মৃত লোককে অস্ত্রশস্ত্রের সহিত কবর দিয়া ভাবেন, পরলোকে পুনরায় ঐ ব্যক্তি শীকারদিতে ব্যাপৃত হন । অৰ্দ্ধসূভ্য কামাসক্ত মুসলমান ভাবেন, পরলোকে প্রেতাত্মা স্বর্গের পরীদের সহিত বিবিধ ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করে। মুসভ্য কৃতবিদ্য প্রেততত্ত্ববিৎ পণ্ডিত ভাবেন, প্রেতাত্মা স্বর্গের ভিন্ন ভিন্ন মণ্ডলে অশেষ জ্ঞানোন্নতি করতঃ অপার আনন্দভোগ করে । ধৰ্ম্মাত্মা একেশ্বরবাদী ভাবেন, পরলোকে প্রেতাত্মা অনন্তকাল ঈশ্বরারাধনায় ব্রহ্মানন্দ ভোগ করে । এইৰূপ পরলোক সম্বন্ধে নানা মুনির নামু মত জগতে প্রচলিত আছে। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম উপদেশ দেয়, প্রলয়ের পর প্রধান বিচার দিবসে স্বর্গের বাদ্যধ্বনি শ্রবণে প্রেতাত্মাগণ কবর খইতে উখিত হইয়া ঈশ্বর সন্নিধানে উপস্থিত হইবে এবং ইহজন্মকৃত পাপপুণ্যের হিসাব দিবে। তৎকালে ঈশ্বয়ের প্রিয়পুত্র ঈষা খৃষ্টানদিগের জন্ত র্তাহার নিকট অনুরোধ করিলে, উহারা পাপ হইতে মুক্ত হইবে এবং পুণ্যের জন্ত স্বর্গমুখ ভোগ করিবে ; কিন্তু পৃথিবীন্থ অন্তান্ত জাতি ঈষ ভজনা করে নাই বলিয়া নিরয়গামী হইবে। সেইরূপ মুসলমান ধৰ্ম্মও এক মুসলমান ব্যতীত অপর জাতিদিগকে নিরশ্নগামী করে । । খ্ৰীষ্টধর্মের মতে এ সংসার কেবল পরীক্ষা-ক্ষেত্র। মানব স্বাধীন ইচ্ছায় २२.