পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“র্তাহারা বিশাল স্বৰ্গলোক ভোগ করিবার পর পুণ্যক্ষয়ে পুনরায় মর্তা লোকে প্রবেশ করে ।” এখন জীবাত্ম মৃত্যুর পর ও পুনর্জন্ম লইবার পূৰ্ব্বে দেবলোকে কিরূপ শান্তিমুখ ভোগ করে ? তথায় কি ইহা কেবল ঈশ্বরারাধনা করিয়া ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করে, না অশেষ জ্ঞানলাভ করিয়া অপার আনন্দনীবে নিমগ্ন হয় ? এ সংসারের যাবতীয় সুখদুঃখ দ্বন্দ্বজ ও মায়াজনিত ; দুঃখ ব্যতীত কদাচ সুখভোগ করা যায় না ; অতএব ঐহিক মুখেও আমাদের প্রকৃত স্বস্তি ও শাস্তি নাই। কিন্তু স্বযুপ্তির অবস্থায় যখন আমরা অজ্ঞানচ্ছন্ন থাকি, সেই অবস্থায়ই আমাদের প্রকৃত শান্তির সময়। প্রকৃত শাস্তি যস্থিাকে বলে, তাহ আমরা গাঢ়নিদ্রাবস্থায় ভোগ করি। অতএব এরূপ অনুমান করা উচিত, মৃত্যুর পর দেবলোকে যখন জীবাত্মা দেহ,লিঙ্গশরীর ও মন হইতে বিচ্যুত হইয়া আমিত্বজ্ঞান ভুলিয়া যায়, তখন ইহা স্বযুপ্তি অপেক্ষ শতগুণ শান্তিমুখ ভোগ করে ; আবার যেমন নিদ্রাবস্থায় নানাবিধ স্বস্বল্প ও দুঃস্বপ্ন মানবমনকে সুখদুঃখের ভাগী করে, সেইরূপ বোধ হয় দেবলোকেও জীবাত্মা নিজকৃত পাপপুণ্যের জন্ত শতগুণ আধ্যাত্মিক মুখদুঃখ ভোগ করে। কিন্তু সে সকল সুখদুঃখ কিরূপ, তাহ অনুমান করা দেহধারী মানবের সাধ্যাতীত। বোধ হয়, যোগীগণ সমাধির অবস্থায় যেরূপ বিমল ব্রহ্মানন্দ ভোগ করেন, মৃত্যুর পর পুণ্যাত্মাদিগের জীবাত্মা সেইরূপ ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করে এবং পাপাত্মাদিগের, জীবাত্মা কেবল অস্তদাহে দগ্ধ হয়। জরায়ুজীবন ও পার্থিবজীবনে যেরূপ প্রভেদ, ইহলোকে ও পরলোকে সেইরূপ প্রভেদ। মানবভ্রণ যতদিন জরাযুগর্ভে অবস্থিত থাকে, ততদিন ইল পৃথিবীর বিষয় ভাবিতে সম্পূর্ণ অক্ষম ; কারণ ইহার সে মন এখনও ফুরিত হয় নাই। সেইরূপ মর্ত্যের লোকের স্বৰ্গলোকের বিষয় ভাবিতে সম্পূর্ণ অক্ষম ; তাহদের সে বুদ্ধি নাই, সে ইক্রিয় নাই, যার উহার অবস্থা হৃদয়ঙ্গম করা যায়। অতএব পরলোক কোথায়, উহার অবস্থা কিরূপ, তাছা আমরা আদেী অবগত নহি । অসভ্য মানব পরলোক বা স্বৰ্গ মেঘের অন্তরালে অবস্থিত মনে করিয়া নিজ অবোধ মনকে সাৰন •দিতে পারে ; কিন্তু আমরা এই পৰ্য্যন্ত জানি, যে পরলোক, স্বৰ্গ, বা