পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ०१७ 1 সৰ্ব্বমঙ্গলময় ভাবিলে জীবাত্মার পুনর্জন্মে কি বিশ্বাস করা যায় ? সুকুমারমতি বালকবালিকাগণই ঐ রূপ ভাবিয়া থাকে । তদ্ভিন্ন র্যাহার। প্রকৃততত্ত্বজ্ঞ র্তাহারা বলেন, এই প্রকারে জীবাত্মা পুনঃপুনঃ জন্মগ্রহণ করিয়া ভিন্ন ভিন্ন মায়াজগতের মায়াঙ্কানলাভ ও মায়াসুখদুঃখ ভোগকরতঃ ক্রমশঃ উন্নতিসোপানে আরূঢ় হয় । এই প্রকারে ইহা কোটী কোট বৎসরে যুগযুগান্তরে ও কল্পকল্লাস্তরে অশেষ উন্নতিলাভ করতঃ দেবতায় পরিণত হয় । তৎকালে ইহা দেবতাদিগের ন্যায় পরব্রন্ধের প্রতিনিধিস্বরূপ মায়াজগৎ অনুশাসন করে। ইহাই সৰ্ব্বজ্ঞ অনন্তক্ষমতাবিশিষ্ট জীবাত্মার চরমোৎকর্ষ। ইহাই মানবের আধ্যাত্মিক উন্নতির পরাকাষ্ঠী । বিজ্ঞানোপদিষ্ট এ জগতের ক্ষণস্থায়ী আধিভৌতিক উন্নতিলাভই অবিনশ্বর জীবাত্মার চরম উদ্দেশু নয়। অতএব মনে স্থিরনিশ্চয় করিয়া রাখ, জীবাত্মার ভবিষ্যৎ অনন্তকালব্যাপী ; এই অনন্তকালে ইহা অনন্ত জ্ঞানোপার্জন, অনন্ত সুখভোগ ও অনন্ত ক্ষমতা লাভ করিবে । এস্থলে ভিন্ন ভিন্ন লোক বা জীবনের ভিন্ন ভিন্ন সমতল ক্ষেত্রের ( Planes of existence ) কিঞ্চিৎ আভাস দেওয়া কৰ্ত্তব্য। এই যে প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান জগৎ যাহা অনুক্ষণ আমাদের নয়নপথে পতিত এবং যাহাতে অসংখ্য সৌরজগৎ, অসংখ্য নক্ষত্র লোক, অসংখ্য গ্রহ ও উপগ্রহ বর্তমান, ই হারা জীবনের এক সমতলক্ষেত্রে অবস্থিত। বোধ হয়, ইহার এক প্রকার ভৌতিক পদার্থ দ্বারা বিরচিত ও এক প্রকার ভৌতিক নিয়মামলি দ্বারা পরিচালিত এবং আমাদের দ্যায় উহাদেরও উৎকৃষ্ট অধিবাসিবর্গ আছে । কিন্তু এ সকল বিষয় আমাদের নিকট সম্পূর্ণ রহস্যময়। যেমন এই পরিদৃশুমান জগৎ জীবনের এক সমতলক্ষেত্রে অবস্থিত, সেইরূপ জীবনের অন্তান্ত সমতলক্ষেত্র বর্তমান । ইহারাই আমাদের নিকট অদৃশুযোনি । ইহারা যেমন বিভিন্ন ভৌতিক ও অধ্যাত্মিক নিয়মাবলি দ্বারা চালিত, ইহেেদর অধিবাসিবর্গও সেইরূপ আমাদের হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন ; উহারা বিভিন্নেক্রিয়বিশিষ্ট্র ও বিভিন্নমনবিশিষ্ট । হিন্দুশাস্ত্রে দেবযোনি, ভূতযোনি গন্ধৰ্ব্বলোক সত্যলোক, ব্ৰহ্মলোক, গোলোক প্রভৃতি ষে সকল ভিন্ন ভিন্ন লোক শাস্ত্রে উল্লিখিত আছে, উহারাই জীবনের ভিন্ন ভিন্ন সমতলক্ষেত্র। যেমন এই পরিদৃশুমান জগতের * গ্ৰহনক্ষত্রাদি পরস্পর বিবিধ সম্বন্ধে সম্বদ্ধ, সেইরূপ এই স্থলজগতও অস্তান্ত