পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৭৯ ] লিত ছিল, মৃত্যুব সময় সে অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত হয়, তাহার নির্বাণের বিরুতার্থ করেন । নাস্তিকগণই নিৰ্ব্বাণের এইরূপ মন্দ অর্থ করিয়া থাকেন । নিৰ্ব্বাণাবস্থায় জীবাত্মার পৃথক অস্তিত্ব থাকে না ! যেমন প্রলয়ে বিশ্ব পবত্ৰহ্মে লীন হয় এবং ইহার অস্তিত্ব আদেী থাকে না ; সেইরূপ নিৰ্ব্বাণেশ জীবাত্মার অস্তিত্ব থাকে না এবং ষ্টত পূর্ণ বন্ধে মিলিত হইয়৷ পূৰ্ণব্ৰহ্ম তষ্টয়৷ যায়। বৌদ্ধধৰ্ম্মের মতে বুদ্ধদেব মৃত্যুব পর নির্বাণপদ প্রাপ্ত গুন ; তজ্জন্ত তিনি বৌদ্ধজগতে পূৰ্ণব্রহ্মস্বরূপ পৃজিত হন । যে সকল ধৰ্ম্ম অদ্বৈতবাদী এৰং যা ছাদের মতে স্বীলাত্মায় ও পরমাত্মীয় কোন প্র ভেদ নাই, সেক্ট সকল ধৰ্ম্মই জীবাত্মার নিৰ্ব্বাণ স্বীকার করে এবং উহাদেব মতে নিৰ্ব্বাণপদ লাভষ্ট BBB BBBB BBS BB BBB BBB BBB BBBB BBBS BBS ফলানুসাবে পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করে এবং সুখদুঃখের ভাগী হয় । কেহ কেহ বলেন, নিৰ্ব্বাণ প্রকৃতির অপরিহার্য্য পরিণাম বিশেষ । যৎকালে মঙ্গপ্রলয় উপস্থিত হয়, তৎকালেষ্ট ব্ৰহ্মাদি দেবগণ ও অন্যান্ত ভূতগ্রাম পরব্রহ্মে লীন হইয়া নিৰ্মাণ লাভ করে : তদ্ভিন্ন মগ প্রলয়ের পূৰ্ব্বে কেইষ্ট নিৰ্ব্বাণ লাভ করিতে পাবে না। তাছাদের মতে জন্মে জন্মে অসীম সাধনাবলে জীবাত্মা ষড়ৈশ্বৰ্য্য প্রাপ্ত হইয়। দেবতায় পরিণত হইলেও, ইহা মহাপ্রলয়ের পূৰ্ব্বে প্রকৃত নিৰ্ব্বাণপদ প্রাপ্ত হয় না। আবার কেহ কেহ বলেন, একমাত্র সাধনাবলে জীবাত্মা কোন এক জন্মেই নিৰ্ব্বাণপদ প্রাপ্ত হইতে পারে। যে কৰ্ম্মস্বত্র দ্বারা জীবাত্মা আবদ্ধ, সাধনাবলে তাহ ছেদন করিতে পারিলে, ইহাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করিতে হয় না এবং ইহু। পরব্রহ্মে লীন হইয়। নিৰ্ব্বাণপদ লাভ করে । তাহীদের মতে নিৰ্মাণ ও মোক্ষ শব্দের তাৎপর্য্য এক । যে অদ্বৈতবাদী ধৰ্ম্ম জগতে মায়াবাদ বুঝে, সে ধৰ্ম্ম জীবাত্মার নির্বাণ উপদেশ দেয়। নিৰ্ব্বাণ অবস্থাটী মায়াতীত ও গুণাতীত। ইহাতে জীবাত্মার পৃথক অস্তিত্ব ও মুখস্থঃখ জ্ঞান কিছুই থাকে না। স্বযুপ্তি, ত্রয়ী অবস্থা ও সমাধির ন্তায় এ অবস্থ চৈতন্ত রহিত, নিৰ্ব্বিকল্প ও নিৰ্ব্বিকার। তড়িয় সকল অবস্থায় ইহা মায়াঙ্কান লাভ করে এবং মায়াজনিত সুখদুঃখ ভোগ করে । যে সকল ধৰ্ম্ম জগতে দ্বৈতবাদী, তাহারাষ্ট জীবাত্মার মুক্তি বা মোক্ষলাভ উপদেশ দেয়। মানৰজন্ম গ্রহণ করাতে জীৱাত্মা যে সকল পাপে স্বভাবতঃ