পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ لاvډ ] • আজ ক্ষণবিধ্বংসি মানবদেহে নিৰদ্ধ হইয়া সংসারের বিবিধ জালাযন্ত্রণায় অস্থির ও নান ঝঞ্জাবীতে ও তরঙ্গে আলোড়িত, সেই জীবাত্মা বিভিন্ন লোকের মায়াজ্ঞান লাভ ও মায়ামুখভোগ করিতে কবিতে ক্রমোন্নতি লাভ করিবে এবং অনন্ত সাধনাবলে ষড়ৈশ্বৰ্য্যশালী-দেবতা হইৰে ও ভূতাদি শাসন করিবে, ইহা অপেক্ষা জীবের ভাগ্য আর অধিক সুপ্রসন্ন কিরূপে হইতে পারে ? জীবাত্মার অনন্ত উন্নতির কথা ভাবিলে, হৃদয়-চকোর কিরূপ আনন্দে নৃত্য করে । অধ্যাত্মবিজ্ঞান ! ধন্ত তোমার উপদেশ! ধন্ত তোমার আশাপ্রদ কথা ! তুমি অবিনশ্বর জীবাত্মার অনন্ত উন্নতির কথা যাহ। নির্দেশ কর, তাহার সহিত তুলনা করিলে, যে জড় । বিজ্ঞান জীবাত্মার অমরত্ব ও অবিনশ্বরত্ব ঘুচাইয়। এই নগণ্য মেদিনীর বাহ।ভূম্বর বৃদ্ধি ও বাহাত্ৰীবুদ্ধিসাধনই মানবজীবনের প্রধান উদ্দেশু বলিয়া উপদেশ দেয়, উহার কথা কিরূপ অশ্রদ্ধেয় ও কিরূপ অকিঞ্চিৎকর ? মোক্ষপদ প্রাপ্ত হইয়া পরমধামে যাইলে, জীবাত্মা যেরূপ বহ্মানন্দ ভোগ করে, ইহজীবনে তাহার কি কোনরূপ আভাস পাওয়া যায় ? ইহসংসারে যাহারা জীবন্মুক্ত, র্তাহারাই জীবাত্মার সেই ব্রহ্মানন্দেব কিঞ্চিৎ আভাস পান । এখন সংসারে কাহারা জীবন্মুক্ত ? কামক্রোধবিমুক্তানাং যতীনাং যতচেতসাম্ অভিতে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণং বর্ততে বিদিতাত্মনাম । স্পর্শান কৃত্ব বহির্বাহাংশ্চক্ষুশ্চৈবাস্তরে ক্রবে: প্রাণাপানেী সমেীকৃত্ব নাশাভ্যন্তরচারিণে । যতেন্দিয়মনবুদ্ধিমুনিমোক্ষপরায়ণা: বিগতেচ্ছাতন্মক্রোধে ধঃ সদা মুক্ত এব সঃ । ( গীতা । । “ষে সকল যোগিদিগের ইন্দ্রিয়গণ সংযত, যাহারা কামক্ৰোধ হইতে বিমুক্ত ও পরমার্থ জ্ঞানে অভিজ্ঞ, তাহাদেরই চতুর্দিকে ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ বর্তমান । ইন্দ্ৰিয়গণের বাহবিষয়গুলি বহির্ভাগে রাখিয়া (উহাদের দ্বারা কোনরূপ আকৃষ্ট বা ৰিকৃত না হইয়া ) ক্রযুগলের মধ্যে চক্ষু রাখিয়া নাশাভ্যন্তরচারি প্রাণ ও অপান ৰায়ুকে সংযত করতঃ যে মুনি ইঞ্জিয়, মন, ও বুদ্ধি সংযত করেন, সকল প্রকাব ইচ্ছা, ভয়, ও ক্রোধকে মন হইতে একেবারে দূরীভূত কবেন এবং সৃদ মোক্ষ