পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s४२ ] পদ প্রাপির জন্য একান্ত ব্যগ্র হন, তিনিই ইহসংসারে জীবন্মুক্ত।” ঈদুশ মহাত্মাগণই ইহসংসার হইতে পরমধামের স্বৰ্গসুখের আভাস পান। আর বিজ্ঞানের মতে কাহার। জীবন্মুক্ত ও সকলের আদর্শ পুরুষ ? বাঙ্গাব। অলোক সামান্ত বিস্তাবুদ্ধিবলে রাজ্যের মন্ত্রীত্বাদি উচ্চপদ প্রাপ্ত হইয়া লক্ষ লক্ষ লোকেৰ ভাগ্যলিপি অনুশাসন করেন, তাহারাই উহার মতে জীবন্মুক্ত ; যেহেতুক দেশেব সকল লোকে তাহাদেরষ্ট প্রশংসাবাদ করিযী থাকে । মুক্তি সম্বন্ধে হিন্দুধৰ্ম্মের উপদেশ স্বগীয় ও মহোচ্চ । কি নিগুণ পরব্রহ্মেব স্বরূপ, কি জ্ঞানযোগ, কি ভক্তিযোগ, কি কৰ্ম্মযোগ, সকল বিষয়েই যেমন এ ধৰ্ম্ম পরাকাষ্ঠা দেখায়, মুক্তি বিষয়েও সেইরূপ ইহা যাহা উপদেশ দেয় গঙ্গা ধৰ্ম্মজগতে অতুলনীয়। বোধ শক্তি থাকে, স্বধৰ্ম্মের মুক্তিতত্ত্ব বুঝিয। নিজ বোধ শক্তি চরিতার্থ কর । শাস্ত্ৰে পাচ প্রকার মুক্তি উল্লিখিত আছে, যথা ( ১ ) সাযুজ্য, ( ২ : সারূপা, (৩) সালোক্য, ( ৪ ) সাষ্টি, ( ৫ ) সামৗপ্য । সাযুজ। মুক্তি লাভ হইলে, জীবাত্মা পরমাত্মায় সংযুক্ত বা লীন হয় ; নিৰ্ব্বাণেব সচিত সাযুজ্য মুক্তির কোনরূপ প্রভেদ নাই। সারূপ্য মুক্তি লাভ হইলে, জীবাত্মা পরমাত্মার স্বরূপত্ব প্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ অনস্ত ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্ত হইয়া জীবা স্থা সাক্ষাৎ ব্রহ্মভূত হয় ; এ অবস্থায় পরব্রহ্ম হইতে ইহার পৃথক অস্তিত্ব থাকে। সাষ্টিমুক্তি লাভে জীৰাত্ম। পরমাত্মার সহিত সমান ঐশ্বৰ্য্য ভোগ করে ; যেমন পরব্রহ্মের অনন্তশক্তি ও অনন্তজ্ঞান, সেইরূপ জীবাত্মা ও সাধনবলে ঐন্ধপ শক্তি ও জ্ঞান লাভ করে । সালোকা ও সামীপ্য মুক্তি লাভ হইলে, জীবাত্মা পরমাত্মার সহিত একলোকে অবস্থিতি পূৰ্ব্বক বা তাহার সমীপে অবস্থিতি পূৰ্ব্বক অপার ব্রহ্মাননা ভোগ করে । f হিন্দু পরমাত্মা ও জীবাত্মাকে অদ্বৈতভাবে দেখেন বলিয়া, নিৰ্ব্বাণ ৰ৷ সাযুজ্যমুক্তি লাভই তাহার ধৰ্ম্মসাধনার চরমফল। আবার তিনি উভয়কে দ্বৈতভাবে দেখেন বলিয়া জীবাত্মার সালোক্যাদি মুক্তি লাভই তাহার ধৰ্ম্মসাধনীর চরমফল। এখন একবার ভাব দেখি, তাহার সাধনার চরম উদ্দেশু বা প্রধান লক্ষ্য কি ? তিনি সাধনবলে অনন্ত শক্তিশালী সৰ্ব্বজ্ঞ জীবাত্মার পূর্ণ আধ্যাত্মিক স্কৃত্তি দ্বারা যে কেবল ব্রহ্মলোকে যাইতে বা পরব্রহ্মের সমীপে যাইতে অভিলাষ করেন, তাহা নহে ; কিন্তু তিনি সাধনবলে অনন্ত ঐশ্বর্ধ্যে