পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৮৩ } বভূষিত হইয়া স্বয়ং পূৰ্ণব্রহ্ম হইতে ইচ্ছা করেন। যে জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ, এই প্রকারেই সে জীবাত্মার পূর্ণ উন্নতি কল্পনা করা উচিত। এ জগতে এক হিন্দু ব্যতীত অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বী লোকে মনের এমন উচ্চাভিলাষ স্বপ্নেও ভাবিতে পারে না । তাহার না হয় অশেষ ধৰ্ম্মীচরণ করিয়া স্বৰ্গলোকে বা ঈশ্বরের সমীপে যাইতে অভিলাষ করে ; কিন্তু আমরা স্বয়ং ঈশ্বর হইব এমন আশা তাহারা কদাচ করিতে পারে না । এই পূৰ্ণব্ৰহ্মত্ব লাভ করিবার জগুহ একজন পরম হিন্দু ইহসংসারে ভক্তিমার্গের অনুসরণ দ্বারা তন্ময়ত্বলাভে একাত্ত প্রয়াসী হন । তন্ময়ত্ব কাহাকে বলে, তাহাই খ্ৰীষ্টাদি ধৰ্ম্ম বুঝিতে সম্পূর্ণ অক্ষম । সেইরূপ মুক্তি কাহাকে বলে, তাহ খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বুঝিতে পারে নাই । ইহার মতে সংসারের শোকতাপ হইতে মুক্ত হইয়৷ ঈশ্বরাষ্ট্রগ্রতে সগলোকে নিরবচ্ছিন্ন ৰুখভোগ করার নাম প্রক্লত মুক্তি। সংসারের শোকত্তাপকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম যেরূপ ভয় করে, হিন্দুধৰ্ম্ম তদ্রুপ করে না । হিন্দুধন্মের মতে জন্মজন্মাস্তরের শোকতাপে বিপচ্যমান হওয়াও জীবাত্মার আধ্যাত্মিকতা ফুরিত হয়। যেমন খৃষ্টধৰ্ম্ম মানবের আধ্যাত্মিক পতনের বিকৃত অর্থ করে, তেমনি এ ধৰ্ম্মও তাহার মুক্তির fবকত অর্থ করিয়া থাকে। যে ধৰ্ম্ম সয়তানের প্রলোভনে জ্ঞানবৃক্ষের আস্বাদনে মানবের পতন ঘটায়, সেই ধৰ্ম্ম আবার একটা সামাদ্য লোককে ক্রসে লিঙ্ক করাইয়া তাহার শোণিত পাত করতঃ তাহাকে মানবের মুক্তিদাতা বলিয়। স্থির করে। এ ধৰ্ম্মের মতে সাত দিন অন্তর একবার গির্জায় গমনপূৰ্ব্বক মুক্তিদাতাকে মধ্যস্থ রাখিয়া ঈশ্বরভ জন করিলেই মুক্তিলাভ করা যায়। যেমন চহার সাধনবিধি, তেমনি ইহার মুক্তিবিধি ! কি আশ্চয্যের বিষয় লোকে পূৰ্ব্বে কি ভাবিয়া, কি দেখিয়া শ্রেষ্ঠ স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ করতঃ ঐরুপ অপকুষ্ট ধৰ্ম্মের ছায়া আশ্রয় কার৩ে যাহত ? তাহারা যদি হিন্দুধৰ্ম্মের স্বগীয়ভাব একবার বুঝিত, তাহারা কি কদাচ সামান্স ঐহিক মুখসচ্ছন্দতা লাভের জন্য মেচ্ছ ফিরিঙ্গদলে গিয়া মিলিত ? ঈশ্বরপ্রেরিত ধৰ্ম্মশাস্ত্র । মানবধৰ্ম্ম মাত্ৰেই সৰ্ব্বত্র প্রচার করে, যে ইহার আদ্য ধন্মগ্রন্থ ঈশ্বরগ্রকটিত । ইহুদিদিগের ভিতর পুরাতন বাইবেণ, খ্ৰীষ্টানদিগের ভিতর নূতন tহবেল, মুসলমানদিগের ভিতর কোরান, বৌদ্ধfদগের ভিতর ত্রিপিটক এবং