পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >và 1 হিঙ্গুদিগের ভিতর চতুৰ্ব্বেদ ঈশ্বরগ্রকটিত ৰলিয়া চিরদিন সমধিক পূজ্য। সৰুগেই স্ব স্ব ধৰ্ম্মগ্রন্থের উপর অসাধারণ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করতঃ উহার বাকা ও উপদেশ সাক্ষাৎ ঈশ্বরের আদেশ বলিয়া পালন করে। দেখা যায়, ঈশ্বরের উপর লোকের যেরূপ ভক্তি ও বিশ্বাস, আদ্য ধৰ্ম্মগ্রন্থের উপরও তাঞ্জ1ঙ্গের সেইরূপ ভক্তি ও বিশ্বাস। বস্তুতঃ আস্তধৰ্ম্মগ্রন্থের উপর তাহদের তাদৃশ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস না হইলে, তাহার কিপ্রকারে উহার ধৰ্ম্মামৃত পান করতঃ ধৰ্ম্মপথে অধিক অগ্রসর হইতে পারে ? এ স্থলে ধৰ্ম্মগ্রস্থের উপর যাকার যেরূপ দৃঢ়বিশ্বাস হয়, তিনিও ইহার উপদেশ দ্বারা সেইরূপ উপকৃত হয় । এখন জিজ্ঞাস্ত, এই সকল ধৰ্ম্মগ্রন্থ কি সত্যসত্যই ঈশ্বরপ্রকটিত ? ঈশ্বর কি সেনাই পৰ্ব্বতের উপর প্রজ্জ্বলিত অগ্নিমধ্যে আবিভূত হইয়। মুসাদেৰকে দশ মহাজ্ঞা প্রদানপুৰ্ব্বক মানবসমাজে তাহ প্রচার করেন ? তিনি কি ঈষাদেবের ঐকণ্ঠে আবিভূত হইয় তাহার, শ্ৰীমুখ হইতে স্বগীয় মঙ্কোচ ধৰ্ম্মোপদেশ নিঃসরণ করতঃ তাহ জনসমাজে প্রচার করেন ? যদি এক ঈশ্বর এই সকল ধৰ্ম্মগ্রন্থ-দেশে দেশে প্রচার করেন, তবে ইহাদের এত বিভিন্ন মতামত কেন ? কেন একধৰ্ম্মাবলম্বী লোকে অন্তধৰ্ম্মের গ্রস্থের উপর পদাঘাত করে ? বিংশশতাব্দীর এত জ্ঞানালোকের মধ্যে কে ধৰ্ম্মের এই সকল প্রলাপবাক্যে আস্থা প্রদর্শন করিতে পারে ? কৃতবিদ্যমাত্রেই ত ভালরূপ জানেন, বিজ্ঞানের কাছে ধৰ্ম্মের এ সকল বুজরুকি আজকাল আর থাটে না এবং এ সকল কুসংস্কার এখন সমাজে লুপ্তপ্রায় হইয়াছে। আধুনিক বৈজ্ঞানিকযুগের মহামহিম, পণ্ডিতগণ বলেন, এ সকল ধৰ্ম্মগ্রন্থ কদাচ ঈশ্বর প্রণীত হইতে পারে না ; ইছারাও অন্তান্ত পুস্তকের তায় ভ্রমসস্থল মানৰমনবিরচিত ; কেবল মাত্র স্ব স্ব ধৰ্ম্মগ্রস্থের উপর জনসাধারণের অসাধারণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি উৎপাদন করাইবার জন্ত প্রত্যেক বৈশেষিক ধৰ্ম্ম সংসারের কঠোর আৰশুকতার বাধ্য হই। ইহার আস্বধৰ্ম্মগ্রন্থকে ঈশ্বরপ্রেরিত বা ঈশ্বরগ্রকটিত .ৰলিয়া চিরদিন প্রচার করিয়া থাকে। কেহ কেহ এরূপ বলেন, বুদ্ধ, ঈষা, মূষা, মহম্মদ প্রভৃতি মহাত্মাগণ প্রকৃত যোগেশ্বর এবং র্যাহারা ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠাংশে আবিভূত হন। র্তাহারা স্বশিষ্মমণ্ডলীর ভিতর ষে সকল স্বৰ্গীয় উপদেশ প্রদান করেন, সে সকল উপদেশ ঈশ্বর স্বয়ং