পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯২ ' ] জtধুনিক উন্নত ৰিজ্ঞানশাস্ত্রের মতে, ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও ৰিবেক ব্যতীত মানবের ছিতাছিত বিচারে অপর একটর প্রাধান্ত থাকা উচিত ; তাহা কেবল সমাজের মঙ্গলামঙ্গল। যদ্বারা সমাজস্ব বহুসংখ্যক লোকের মঙ্গল সাধিত হয় , তাছাই পুণ্যকৰ্ম্ম ৰ সৎকৰ্ম্ম, আর যদ্বারা বহুসংখ্যক লোকের অনিষ্ট্রোৎপত্তির সপ্তাবনা, তাহাই পাপকৰ্ম্ম বা অসৎকৰ্ম্ম । শাস্ত্র মানবরচিত, অতএব ভ্রমসঙ্কুল ; বিবেক বাল্যকালের সংস্কার ও উক্ত কালের শিক্ষার অনুসারে গঠিত হয়, অতএব ইহাও ভ্রমসম্বুল । সুতরাং উভয়কেই স্থলবিশেষে অগ্রাহ করিতে হয় । বিজ্ঞানবিং পণ্ডিত বলেন, “ধৰ্ম্মশাস্ত্র যতই কেন স্পৰ্দ্ধার সহিত বলুক না, ইছ| ঈশ্বর প্রকটিত বা মহাত্মা-বিরচিত, তথাচ ইহা নানা কুসংস্কারে ও নানা ভ্ৰমে পরিপূর্ণ। যখন জগৎ ৰোর অজ্ঞানান্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল, তখনই ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের স্বষ্টি হয়। আমি কেন কেৰল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কথা মানিব ? আমি মুন্দর জ্ঞানশক্তিতে বিভূষিত হইয়া এ জগতে স্বঃ হইয়াছি। আমি সকল বিষয়ে একমাত্র জ্ঞানশক্তি পরিচালন পূর্বক ভালরূপ বিৰেচনা করিয়া কাজ করিব। আমি কেন অন্ধবিশ্বাসের সহিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কথা মান্য করিয়া চলিব ? এই বিংশ শতাব্দীর দিনে, এত জ্ঞানালোক ও এত সমুজ্জল সভ্যতাজ্যোতির মধ্যে কে সেই স্থবির, মুমুঘু ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কথা মান্ত করিয়া চলে ? আবার লোকে ৰিবেক বিবেক করিয়া মহা চীৎকার করে, যেন ইছাই তাহীদের যথাসৰ্ব্বস্ব, যেন ইহাই তাহাদের সহজ বা নৈসৰ্গিক জ্ঞান । তবে কেন বিবেক সম্বন্ধে সংসারে এত পার্থক্য দেখা যায় ? হিন্দুর নিকট গঙ্গাস্নান মহাপুণ্যদায়ক ; কিন্তু খ্ৰীষ্টানের নিকট গঙ্গাস্নান ও টেম্সমান উভয়ই এক। মুসলমানের নিকট মক্কাদর্শন মহা পুণ্যদায়ক ; কিন্তু খ্ৰীষ্টানের নিকট মক্কাদর্শন ও ৰোম্বাইদৰ্শন উভয়ই এক । বিবেক সম্বন্ধে লোকের কত পার্থক্য দেখ! তোমার বিবেক তোমার নিকট তোমার ৰিশ্বাসে অভ্রান্ত ; কিন্তু তোমার ৰিবেক আমার নিকট "আমার বিশ্বাসে ভ্রান্ত। তবে কেন ৰিৰেক ঈশ্বরের প্রতিনিধি স্বরূপ বলিয়৷ ” এত শাস্ফালন কর । বেশ জান, ভ্রান্ত ধর্শ্বের ঐ সকল কুসংস্কার ও বুজরুকি উন্নত ও অভ্রান্ত বিজ্ঞানের কাছে আর খাটে না ।” এই প্রকারে উন্নত ৰিজ্ঞান ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও ৰিৰেকের প্রাধান্ত মীভূত করিতে চেষ্টা পায় । তৎপরিবর্তে ইহা উপদেশ দেয়, মানৰ সামাজিক জীৰ ; সমাজই