পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ »»• ] প্রধান লোকেরা উহার বিবেক স্বরূপ, সেইরূপ ধৰ্ম্মশাস্ত্রও জাতীয় বিবেকস্বরূপ। ইহা দ্বারাই জাতিবিশেষ চিরদিন গঠিত ও চালিত হইয় থাকে। ইহার প্রধান উদ্দেশু,কি প্রকাপে জাতিবিশেষ স্বজনবর্গে-বেষ্টিত হইয়া সমাজে বসবাস করত অশেষ মুখে কালতিপাত করিতে পারে ; ইহাতেই সমাজের মঙ্গলামঙ্গল স্বতঃ আসিয়া পড়ে। অতএব ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও বৈজ্ঞানিক হিতবাদের মধ্যেও প্রভেদ অল্প । অনেকের বিশ্বাস, পাপপুণ্যজ্ঞান আমাদের স্বভাবসিদ্ধ বা সহজাত । উন্নতবিজ্ঞান এই মতের তীব্র প্রতিবাদ করে। ইহার মতে পাপপুণ্যজ্ঞান বা বিবেক অামাদের নৈসর্গিক সংস্কার নহে। যাহ। নৈসর্গিক জ্ঞান, তাহা সৰ্ব্বদেশে ও স ল সময়ে সমভাবে অনুভূত হয়। বাল্যকালে অন্যান্ত সংস্কারের সহিত আমরা পাপপুণ্যজ্ঞান প্রাপ্ত হই। মানবমস্তিস্কের ফুৰ্ত্তির সহিত জ্ঞানশক্তি যেরূপ ফুরিত হয়, অতি শৈশবকাল হইতে বিবিধ বিষয় দর্শন, শ্রবণ ও মনন করিয়া এবং গুরুজনের নিকট শিক্ষা প্রাপ্ত হইয়া হৃদয়ে যে সংস্কার ক্রমশঃ বদ্ধমূল হয়, তদনুসারে সকলের বিবেক গঠিত হইয় থাকে। এ কারণ বশতঃ পাপপুণ্যজ্ঞান লইয়া সকুল সমাজে এত পার্থক্য দৃষ্ট হয়। তন্মধ্যে যাহা সমগ্র মানবসমাজের অনিষ্টকর, डांश সকল সমাজেই পাপ জ্ঞানে ঘৃণিত এবং যাহা সমগ্র মান সমাজের কল্যাণকর ও মঙ্গলদায়ক, তাহ। সকল সমাজে সকল সময়ে পুণ্যজ্ঞানে আদৃত। এজন্য চৌধ্য নরহত্যাদি সমাজের অমঙ্গলকর মৃঙ্কল্পগুলি সকল দেশে পাপ জ্ঞানে ঘৃণিত ও পরিত্যক্ত হয় এবং পরোপকারাদি সমাজের মঙ্গলকর সংকৰ্ম্মগুলি সকল দেশে পুণ্য জ্ঞানে আদৃত ও অনুষ্ঠিত হয়। সেইরূপ ধাহ সমাজ৭ি. ধে । অনিষ্টকর, তাহ সেই সমাজে গজনক বিবেচিত হয় ; যেমন গোহ ত্যা হিন্দুসমাজে মহাপাতক বঞ্চি, টিয়খন স্কৃণিত হয় । যাহা সমাজ7ি 1. ষ্টদায়ক, তাহা সেই সমাজে ” • বিদেfচ ও হর্স, যেমন ব্রাহ্মণ ভোজন ৩ মে মঙ্গপুণ্যদায়ক এবং পাদরীপালন খ্ৰীষ্টজগতে মহাপুণ্যদায়ক। হৃদয়ে বিরুদ্ধ প্রবৃত্তির সমাবেশ হওয়ায় মান । স; ax.খাদেশে স্বার্থ প্রবৃত্তির চরিতার্থতার জন্ত সদা ব্যগ্র হন ; কিন্তু ইহার অযথা চরিতার্থতায় সমাজের প্রভূত অনিষ্টোৎপত্তির সম্ভাবন হইয়া থাকে। তুমি সমাজে গণ্য হইয়াও নগণ্য ।