পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०२ ] “যিনি শাস্ত্রবিধি ত্যাগ করিয়া যথেচ্ছাচারী হন, তিনি ইহজীবনে সিদ্ধি লাভ করেন না, সুখীও হন না এবং অন্তে উৎকৃষ্ট গতিও প্রাপ্ত হন नां । অতএব কর্তব্যাকৰ্ত্তব্য বিষয়ে শাস্ত্রই তোমার একমাত্র প্রমাণ এবং শাস্ত্রোক্ত সকল সৎকৰ্ম্মানুষ্ঠান অবগত হইয়। যথাবিধি উহাদের পালন করা উচিত।” শ্ৰীকৃষ্ণের মুখারবিন্দ হইতে যে অমৃতময় উপদেশ নিঃস্থত, তাছার প্রকৃত মৰ্ম্ম অবগত হওয়া সকলের একান্ত কৰ্ত্তব্য । - সমাজে অধিবাসের সঙ্গে মানবহৃদয়ে যশোলিন্স। ক্রমশঃ ফুরিত । তুমি যে সমাজভুক্ত, সে সমাজের লোকেরা তোমার কীৰ্দশ মুখ্যাতি বা অখ্যাতি করে, তচ্ছৰণার্থ তুমি সদা স্বতই ব্যগ্র হও ; এজন্ত মানমন্ত্রম চিরদিন সকলের এত প্রিয় এবং মানসন্ত্রম রক্ষার্থ সকলে এত যত্নবান । যখন তুমি সমাজের কোন মঙ্গলদায়ক কৰ্ম্ম কর, যেমন লোকে তোমার সুখ্যাতি করি তে থাকে, তুমিও তেমনি হুদয়ের গভীরতম প্রদেশে সৎব ভনিত আত্মও দি লাভ কর । যখন তুমি সমাজের কোন অমঙ্গল সাধন কর, যেমন লোকে তোমার অপযশ চতুর্দিকে ঘোষণা কবে, তুমিও তেমনি হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশে আত্মগ্নানিতে দগ্ধ হও। আত্মপ্রসাদ ও আত্মগ্লানি বিবেক হইতে উথিত । একটা পুণ্যকৰ্ম্মের সমুচিত পুরস্কার, আর অপরটা পাপকন্মের গুরুতর দণ্ড । স্থলবিশেষে ধৰ্ম্মজনিত আত্মপ্রসাদের সহিত লোকের যশাধশের বিরোধ উপস্থিত হয়। যদি তুমি ধম্মের খাতিরে, সত্যের পাতিরে স্ব ও ভুর বিপক্ষে যথার্থ সাক্ষ্য দেও, লোকে তোমার অপযশ গাইতে পারে; কিন্তু তুমি ধৰ্ম্মজনিত আত্ম প্রসাদলাভ করিয়া চরিতার্থ হও । যদি তুমি বিকৃত বিবেকের অভিমতে স্বধৰ্ম্মকে পৌত্তলিক বলিয়া ঘৃণা করতঃ অন্তধৰ্ম্মে দীক্ষিত হও, গ্রামস্থ লোকে তোমার অপযশ গায় বটে ; কিন্তু তুমি স্ববিবেকের নিকট অপরাধী ও না এবং তজ্জন্ত আত্মপ্লানিতেও দগ্ধ হও না । আবার পুনঃ পুনঃ ধৰ্ম্মাচর করায় :স্বাক্ষ্মপ্রসাদ পদে পদে লাভ করা যায় ; কিন্তু পুনঃ পুনঃ অধৰ্ম্মাচরণে আত্মপ্লানি - ऑप्शोभश्छूड হয় না এবং অভ্যাসবশতঃ মনও প্রস্তরবৎ কঠিন হইয়া যায়। যে দুৰ্ব্বত্ত পাপাত্ম কসাই প্রথম গোহত্যা করে, তাহার মনে আত্মপ্লানি অনুভূত হয় ; পরে প্রত্যহ গোহত্যা করায় তাহার মন ৫ স্তরবৎ কঠিন হইয়া যায় এবং সে পাপিষ্ঠও স্বচ্ছদে সহস্ৰ সংস্ৰ গোবধ করে ও গোমাং’, গণ বরে -