পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०१ ] কাল সমাজে প্রচলিত আছে। এস্থলে মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করা উচিত, ধৰ্ম্মনীতি । সমাজকে সাত্ত্বিক ভাবে শাসন করিতে চায়, আর রাজনীতি উহাকে রাজসিক ও তামসিক ভাবে শাসন করিতে চায়। মনে কর, আমাদের যাবতীয় পাপপুণ্য জ্ঞান মিথ্যা এবং ইহার কেবলমাত্র সমাজের মঙ্গলামঙ্গল হইতে উখিত, তথাচ যে ধৰ্ম্ম সমাজের হিতাহিতকে পাপপুণ্য নামে অভিহিত করিয়া হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশে চিরাঙ্কিত করে, বিবেককে তদনুসারে গঠিত করে, সকলকে সমাজের মঙ্গলদায়ক কৰ্ম্মে স্বতঃ প্রোৎসাহিত করে এবং অমঙ্গলদায়ুক কৰ্ম্ম সম্পাদনে বিনিবৃত্ত করে, সে ধৰ্ম্ম শারীরিক দণ্ডবিধানকারী রাজনীতি অপেক্ষ যে উৎকৃষ্ট, তাহাতে সন্দেহ কি ? কলিযুগ বদ্ধনের সঙ্গে ধৰ্ম্মনীতি অপেক্ষ রাজনীতির প্রাধান্ত সমাজে বদ্ধিত হয়। আধুনিক পাশ্চাত্যসভ্যতার মূলমন্ত্র ধৰ্ম্মনীতি অপেক্ষ রাজনীতির প্রাধান্ত অধিক । এজন্ত পাশ্চাত্যজগতে রাজ্যের শাসকবৃন্দ ধৰ্ম্মযাজকদিগের ক্ষমতা খৰ্ব্ব করিতে এত প্রশ্বাসী হয়। এদেশেও ধৰ্ম্মযাজকদিগের বা পুরোহিত ও অধ্যাপকদিগের ক্ষমতা লুপ্তপ্রায় হইয়াছে। কিন্তু পূৰ্ব্বে হিন্দুধৰ্ম্মের গুণে র্তাহাদের ক্ষমতা রাজ্যের শাসকবৃন্দ অপেক্ষা অধিক ছিল । হিন্দুরাঞ্জন্তবর্গ চিরদিন সমাজের অধিনায়ক ব্রাহ্মণদিগের আদেশ শিরোধাৰ্য্য করেন । তাছাদের ক্ষমতা অধিক হওয়ায়, তাহার চিরদিন হিন্দুসমাজকে ধৰ্ম্মভাবে, সাত্ত্বিকভাবে শাসন করেন। যেমন একদিকে রাজন্তবর্গ রাজদণ্ড প্রদানপূর্বক হিন্দুসমাজকে রাজসিক ও তামসিকভাবে মুশাসন করেন, সেইরূপ অপরদিকে ধৰ্ম্মাত্মা ব্রাহ্মণগণও যে সকল সামাজিক মঙ্গলজনক বিষয়ে রাজদণ্ড হস্তক্ষেপ করে না, সে সকল বিষয়ে প্রায়শ্চিত্তাদি বিধান দিয়া তাহারা স্বসমাজকে স্বাত্ত্বিকভাবে শাসন করেন এবং স্বদেশ ও স্বধৰ্ম্মের প্রভূত মঙ্গলসাধন করেন। - অদ্যান্ত ধৰ্ম্মের ন্তায় হিন্দুধৰ্ম্মও আত্মগ্লানিকে পাপের যথার্থ গ্ৰায়শ্চিত্ত বলে। কিন্তু অনেকস্থলে পুনঃ পুনঃ পাপাচরণ করাতে বিবেক প্রস্তরবং, কঠিন হইয়া যায় এবং পাপজনিত গতামুশোচনা হৃদয়ে আদৌ অমুভূত হয় না। সেজগু পাপের দণ্ডবিধানের জন্য এ ধৰ্ম্ম কেবলমাত্র আত্মগ্লানির উপর নির্ভর করে না । ইহার মতে আত্মগ্লানি পাপের নিও । এtয়শ্চিত্ত মাত্র। ইহাতে নির কারোপাসক পৃষ্ঠানগির মনে তৃপ্তি বোধ হ’তে পারে ; কিন্তু সকারো