পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ২৩৯ ] নাই । গোঁহত্যার জন্ত শাস্ত্রে প্রায়শ্চিত্ত বিধিবদ্ধ বলিয়া আমাদের নিকট । গোস্থত্য চিরদিন মহাপাতক এবং প্রাণ যায় সেও স্বীকার, তথাপি কোন লোক স্বপ্নেও গোহার বিষয় ভাবিতে পারে না । ধন্য ধৰ্ম্মাত্মা ব্রাহ্মণগণ ! ধন্ত তোমাদের বুদ্ধিকৌশল ! ধন্ত তোমাদের সমাজতত্ত্বজ্ঞান ! সমাজস্থ কেfন ব্যক্তিকে কারাগারে নিক্ষেপ না করিয়া, দ্বীপান্তর প্রেরণ না করিয়া বা কোন রূপ শারীরিক যন্ত্রণা না দিয়া, তোমরা প্রায়শ্চিত্তাদি প্রবর্তন পূৰ্ব্বক স্বসমাজকে যেরূপ স্বশাসনে স্বশাসিত করিয়াছিলে, সভ্যতাভিমানী, ইউরোপবাসী, রাজনীতিজ্ঞ, দিগগজ পণ্ডিতগণ স্বসমাজকে কদাচ সেরূপ শাসন করিতে পারেন না । আমাদের জাতীয় জীবনে এমন স্থসময় অতীত হইয়াছে, যখন চৌর্য্য প্রতারণা প্রভৃতি অসৎকৰ্ম্ম গুলি হিন্দুসমাজে অশ্রুত ছিল । কেন যবনদূত মেগাস্থেনিস আমাদের পূর্বপুরুষদিগের সততা, সত্যবাদিত ও ন্যায়পরতার এত প্রশংসা করেন ? কেন চীনদেশবtঠী-তীর্থযাত্রিরা আমাদের এত মুখ্যাতি করেন ? হিন্দুধৰ্ম্মের গুণে, ধৰ্ম্মাত্মা ব্রাহ্মণদিগের গুণে হিন্দুসমাজ চিরদিন ধৰ্ম্মভীরু ও ধৰ্ম্মপরায়ণ ; কিন্তু বলিতে হৃদয় বিদীর্ণ হয়, বক্ষঃস্থল অশ্র জলে প্লাবিত হয়, “তে হি ৰুে দিবসা গতাঃ” হায়! আমাদের সে সকল দিন এখন কোথায় ? এই কপট ধৰ্ম্মযুগে আমরা বিজাতীয় বিধৰ্ম্মী রাজতন্ত্রের শাসনে এখন কেবল কপট ও পাপাচারী হইতেছি। - এখন বিধৰ্ম্মী ইংরাজরাজের রাজনীতির সহিত অনেক স্থলে আমাদের চিরন্তন ধৰ্ম্মনীতির বিরোধ উপস্থিত হয়। আমরাও চতুর্দিকস্থ অবস্থার তীব্র তাড়নায় কপটতা আশ্রয় করিয়া প্রাণে প্রাণে জাতিধৰ্ম্ম রক্ষা করি। এখন ইংরাজরাজপ্রতিষ্ঠিত বিচারাগারগুলি কেবলমাত্র প্রবঞ্চন, শঠতা ও মিথ্য কথনের কেন্দ্রস্থল। তথায় যিনি যতদূর প্রবঞ্চন ও বাকৃচতুর্ঘ্য শিক্ষা করেন, তাহার ততোধিক জয়লাভ ও অর্থোপ{জর্জন। এখন আদালতের চক্ষে যিনি যত ধূলি প্রদান করেন, তাহার তত সুনাম ও অর্থাগম। যে কৃত্রিম সভ্যতা-স্থলভ পাপস্রোতে আমরা এখন বাহমান, তাছা প্রত্যাবর্তন করা দুৰ্ব্বল মানবের সাধ্য নয়। কোথায় হে বিপদভঞ্জন মধুসুদন। তুমিই আমাদের একमोल्नु गङ्iग्न !