পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১২ ] রোগশোকপরিতাপবন্ধন ব্যসনানি আত্মাপরাধবৃক্ষাণাং ফলান্তেতানি দেহিনীম্। ( হিতোপদেশ । ) “রোগ, শোক, পরিতাপ, কারাবাস ও বিপদসমূহ সকলই স্বকৃত অপরাধরাপ বৃক্ষের ফল স্বরূপ।” এখন জিজ্ঞাস্ত, ভবসংসারের সুখদুঃখের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে প্রবৃত্ত হইয়া, আমরা কি উপরোক্ত সহজ নিয়ম দর্শন করি ? সকলেই জানেন, এ সংসারে অনেকে কিছুমাত্র পাপকৰ্ম্ম না করিয়াও চিরদুঃখে দুঃখী; আবার অনেকে কিছু মাত্র পুণ্যকৰ্ম্ম না করিয়া অনন্তমুখে সুখী। সকলেই জানেন, এ সংসারে অনেকে ধৰ্ম্মাচরণ করিয়াও অশেষ যন্ত্রণায় প্রপীড়িত হন, আবার অনেকে অশেষ পাপীচরণ করিয়াও পরমসুখে স্বর্থী হন। কলিকালে ধৰ্ম্মেরই পরাজয় ও অধৰ্ম্মের জয় দেখা যায়। তবে কেন বল, ধৰ্ম্ম হইতে মুখ এক অধৰ্ম্ম হইতে দুঃখ উৎপন্ন হয় ? দেখ, একজন সদ্বংশসস্তৃত দরিদ্র ব্রাহ্মণ পৌরোহিত্য করিয়া কত কষ্টে সংসার যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করেন । আর একজন অধমাধম চৰ্ম্মকার চৰ্ম্ম ব্যবসার দ্বারা কেমন মুখে জীবনযাত্রণ নিৰ্ব্বাহ করে । একজন অগাধ ৰিষ্কাবিশারদ ধৰ্ম্মাত্মা অধ্যাপক যৎসামান্ত বসন পরিধানপুৰ্ব্বক রাজপথে পদব্ৰজে যাইতে যাইতে কত বই পান । আর একজন নীচকুলোদ্ভব রজক সুন্দর বেশভূযায় বিভূষিত হইয়া অশ্বযানারোহণে কেমন মুখে গমন করেন। অতএব ংসারের বৈষয়িক তৃারতম্যের বা মুখদুঃখের প্রকৃত কারণতত্ত্ব বুঝা ভার। এই বিষম সমস্যা মীমাংসা করিবার জন্ত জনসাধারণ সকল দেশে আবার অদৃষ্টের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে। অদৃষ্ট বা ভাগ্য স্বপ্রসন্ন হইলে, লোকে পরমসুখে কালাতিপাত করে ; তৎকালে জীবনের যাবতীয় ঘটনাবলি তাছাদিগকে, কেবল স্বখ হইতে মুখাস্তরে লইয়া যায়। সেইরূপ অদৃষ্ট বা ভাগ্য কুপিতৃ ইলে, তাহারা সংসারে , নাবিধ যন্ত্রণা ও কষ্টভোগ করে ; তৎকালে "াহাট, চতুর্দিকহু ঘটনাৰলি তাঁহাদের উপর কেবল দুঃখের পর দুঃখ অনিয়ন করে। সকলের বিশ্বাস, স্ত্রীরত্ব বল, পুত্ররত্ন বল, ধনসম্পত্তি বল, শরীরের স্বাস্থ্য বল, সমাজে মানসন্ত্রম বল, সংসারে, যে যে বস্তু আমাদের স্বৰ্থ বর্ধনের জন্ত পরিকল্পিত, তৎসমুদ্রায়ই আমরা কেবল অদৃষ্টগুণে লাভ