পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२७ ] “আমি ধৰ্ম্ম জানি, কিন্তু তাঁহাতে আমার প্রবৃত্তি নাই ; আমি অধৰ্শও জানি, কিন্তু তাছাতে আমার নিবৃত্তি নাই। হে হৃষীকেশ! তুমি আমার হৃদয়দেশে অবস্থান পূর্বক আমায় যেরূপ প্রেরণ কর, আমিও তদন্ড্রপ কাৰ্য্য করি।” উপরোক্ত দুইটী শ্লোকপাঠে অনেকে মনে করেন, যখন ঈশ্বর জামাদের হৃদয়ে থাকিয়া আমাদিগকে যেরূপে চালান আমরা সেইরূপে চালিত হয়, তখন তিনিই আমাদিগকে পাপপথে বা পুণ্যপথে লইয়া যান, তবে আমরা কি প্রকারে পাপপুণ্যের জন্ত দায়ী ? আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা যেরূপ হউক না কেন, যখন আমরা চতুর্দিকস্থ অবস্থাপরম্পরার দাস, তখনই বা আমরা কি প্রকারে নিজকৃত পাপপুণ্যের জন্ত প্রকৃত দায়ী ? যখন আমরা পুরুষকার বলে নিজে মুখের পথ পরিষ্কার করিতে পারি; তখন দৈব বা কি প্রকারে বলবতী ? এখন এই বিষম সমস্যাট কি প্রকারে মীমাংসা করা উচিত ? কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রাদেশ কদাচ মিথ্যা হুইবার নয়। শাস্ত্রের আদেশ পুরুষকার অপেক্ষ দৈব প্রধান । দৈব প্রসন্ন না হইলে, পুরুষকার আদে ফুৰ্ত্তি পায় না এবং আমাদের সকল উদ্যম ব্যর্থ হইয়া যায়। "তাগাং ফলতি সৰ্ব্বত্ৰ ন চ বিদ্যা ন চ পৌরুষং।” যে পুরুষকার বা অধ্যবসায় বলে তুমি জগতে মহৎ কাৰ্য্য করিতে অভিলাষী, তোমার অদৃষ্ট প্রসন্ন ন হইলে, তুমি তাছাতে সিদ্ধিলাভ করিতে পার না। যে ধীশক্তিবলে তুলি জগতে মহৎ কাৰ্য্য করবে, সে ধীশক্তি কি প্রকৃতিদত্ত নয় ? তাহাতে কি দৈবের অনুশাসন অধিক নাই ? তবে কেন পাশ্চাত্য জগতের কথায় নিজ শাস্ত্র অবহেলা কর ? পাশ্চাত্যজগতের নবভাগ্যোদয় বলিয়া আজ তথায় পুরুষকারের এত-সমাদর । কিন্তু প্রাচ্যজগতের উপর দৈৰ এখন ততদুর প্রসন্ন নয় ; তজ্জন্ত কেবল পুরুষকার বলে তুমি অসাধারণ কাৰ্য্য করিতে পার না এবং তোমার গুরুষকার এখন তষ্ঠর জুৰি পায় না। . : 3. লোকের পার্থিব অবস্থা পুরুষকার বা স্বাধীন ইচ্ছাবলে কথঞ্চিৎ পরিবৰ্ত্তিত ছুইতে পারে বটে ; কিন্তু জীবনের মুখচুঃখ অধিক পরিমাণে দৈবাধীন। ৰে বিবিধ রোগশোক ও জালাধৰণা দ্বার, কি রাজাধিরাজ, কি পথের কাদাল, সকলেই সমভাবে গ্রগীড়িত হয়, তাহ সৰ্ব্বৈৰ দৈৰাধীন। জীবনের