পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७8 ] গণনানুসারে পূর্বাহ্নে স্থির সিদ্ধান্ত করে, একবার ভাৰ দেখি, সে শাস্ত্র মানৰবুদ্ধির কি অপরূপ কীৰ্ত্তিস্তম্ভ ! সত্য বটে, আজকাল হিন্দুসমাজে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষণের অভাবে এ শাস্ত্রের বিস্তর অনাদর ও অবনতি দেখা যায়, তথাচ ৰখন এ শাস্ত্র এতকাল সমাজে প্রচলিত আছে, তখন ইহাকে কদাচ অলীক ও কাল্পনিক বলিয়। অবজ্ঞা করা উচিত নয় । ফলিত-জ্যোতিষ পাশ্চাত্যজগতে এখন অনাদৃত হইয়া থাকে। তথায় স্বাধীন ইচ্ছা ও পুরুষকারবলে লোকবর্গকে আধিভৌতিক উন্নতিসাধনে প্রোৎসাহিত করিবার জন্তই ইহার এত অনাদর দেখা যায়। পাশ্চাত্যপণ্ডিতগণ এ শাস্ত্রের বিপক্ষে যতই কেন বলুন না, আমরা মুক্তকণ্ঠে সহস্রবার স্বীকার করিব, এ শাস্ত্র পুরাকালীন মানববুদ্ধির একটা সুমহৎ কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। অগাধ ও অপরিসীম পর্য্যবেক্ষণ ও ভূয়োদর্শন বলে ইহা রচিত অথবা যোগবলে প্রাপ্ত হইয়াছে। যদি যোগবলে ইহার প্রাপ্তি অস্বীকার কর, তথাচ ইহা যে অগাধ পর্য্যবেক্ষণ দ্বারা লব্ধ, তদ্বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। মানধবিশেষ যে লগ্নে ভূমিষ্ঠ হইল, তৎকালীন গ্ৰহাদির স্থিতি দেখিয়া ও র্তাহার জীবনী অনুসন্ধান করিয়া যে সকল সিদ্ধাত্ত করা যায়, তাহাই আবার অন্ত লোকের জীবনী দ্বার সমর্থিত ও দৃঢ়ীকৃত করা হয়। এই প্রকারে জ্যোতিষ শাস্ত্রের নিয়মাবলি প্রতিষ্ঠিত ও মীমাংসিত হইয়াছে। তবে কেন লোকে এখন ইহাকে অলীক ও কাল্পনিক বলিয়া উড়ায় ? এ শাস্ত্র যে অতি প্রাচীন, তদ্বিষয়েও কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। অনেকের বিশ্বাস, রোমকপুরনিবাসী ধে অসুরময় দেব স্বৰ্য্যদেবের নিকট এ শাস্ত্র শিক্ষা করেন, তিনি আধুনিক পৃথিবীর মানব নন। যৎকালে ইহাতে অস্বরগণ বিচরণ করে, তিনিও সেই সময়ে প্রাচুভূত হন। এ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে একটা মহৎ কথা সময়ে সময়ে উখিত,হয় যদি ইষ্টকালের গ্রহাদির স্থিতি ও সঞ্চারদর্শনে সমগ্রজীবনের ফলাফল বা সুখদুঃখ স্থিরীকৃত, করা যায় তবে কেন একই মুহূর্বে বা লগ্নে ভূমিষ্ঠ এক রাজকুমার ও এক দরিদ্র সন্তানের মুখস্থঃখ সম্বন্ধে এত পার্থক্য নয়নগোচর হয় ? প্রথমতঃ যদ্যপি উভয়েই একই মুহূর্বে জন্মগ্রহণ করে, তথাচ নিমেষ, কাঠা, কলা ও ক্ষণ লই। উহাদের ইষ্টকালের কিঞ্চিৎ পার্থক্য হয়, তজ্জন্ত উহাদের জীবনের -মুখস্থুঃখও বিভিন্ন হইয় পড়ে। দ্বিতীয়তঃ এ সংসারে সকলেই স্ব-অবস্থায়