পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩৭ ] অন্ধকারাবৃত ? কেন কবিরাজী, হাকিমী, এলোপ্যার্থী, হোমিওপ্যাণী, ইলেক্টে প্যার্থী, ইলেক্টে-হোমিওপ্যার্থী প্রভৃতি নানাবিধ চিকিৎসোপায় । এ সংসারে প্রচলিত হইয়াছে ? মানব নিজ দুঃখ বিমোচনার্থ সাধ্যমত নানাবিধ । চেষ্টা করেন ; কিন্তু প্রকৃতিদেবী তাহার এ সকল অনর্থক চেষ্টার উপর উপহাস বা বিদ্রুপ করেন। তাহার সকল চেষ্টাই অখণ্ড্য নিয়তির সমক্ষে ব্যর্থ হয়। পরিশেষে বক্তব্য, সংসারে বৈষয়িক তারতম্য বশতঃ মানবজীবনের সুখদুঃখ সম্বন্ধে যে ভেদাভেদ দেখা যায়, তাহ। আপাতদর্শনে অধিক বটে, কিন্তু বাস্তবিক তাহা অত্যন্ন। সকলেই স্ব স্ব অবস্থায় সস্তুষ্ট থাকিতে চেষ্টা করেন এবং যিনি যে অবস্থায় পতিত হউন না কেন, অভ্যাসবশতঃ তিনি তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকেন এবং গ্রহাদির সঞ্চারবশতঃ তাহাতেই তিনি মুখদুঃখের পথ দেখিতে পান। স্বন্দর যানারোহণ করিলে বা পলান্ন ভোজন করিলেই যে লোকে পরম মুখী হয়, আর পদব্রজে গমন করিলে বা শাকান্ন, ভোজন করিলে যে কেহ সুখী হয় ন}} এ মিথ্যা ধারণা কেন সকলের মনে বন্ধমূল হয় ? আবার ফুেল কি শীতপ্রধান, কি গ্রীষ্ম প্রধান, কি নাতিশীতোষ্ণ, সকল,দেশেই লোকে মুখবিশেষ ও হুঃখবিশেষ ভোগ করে, সেইরূপ কি ধনবান, কি মধ্যবিত্ত, কি দরিদ্র, সমাজের সকল অবস্থায় লোকে মুখবিশেষ ও দুঃখবিশেষ ভোগ করে। দেখ, যে ব্যক্তি নিতান্ত দীনদরিদ্র, সে ব্যক্তি সমস্ত দিবস কঠোর কায়িক পরিশ্রম করিয়া শাকান্নে উদর পূরণ করতঃ যে নিদ্রাসুখ ভোগ করে, তাহা এক জন রাজাধিরাজের ভাগ্যে ঘটে না । আর যিনি লক্ষ লক্ষ লোকের অধীশ্বর, তিনি বাহাড়ম্বরে ও ভোগবিলাসে আপমাকে ৰেষ্টিত করিয়া তপ্তকাঞ্চনবং নিজ শরীর অতি যত্নের সহিত পালন করতঃ সংসারে বিবিধ সুখভোগ করেন বটে, কিন্তু জরাক্রাস্ত হইলে, সেই গাত্রদাহ, সেই শিরঃপীড়া, সেই পিপাসা, সেই শরীর বেদন প্রভৃতি সকল প্রকার যন্ত্রণায় তিনিও অস্থির হন। চিরদিন স্বখাভ্যস্ত বলিয়া সহিষ্ণুতা কাহাকে বলে, তাই তিনি আদেী শিক্ষা করেন না ; এ জন্ত পীড়ার সময় তাহার ততোধিক যন্ত্রণা হয়। কিন্তু যিনি আজীবন কষ্টে লালিত ও অভ্যস্ত, তাহার সহিষ্ণুতা ততোধিক ; তিনি সামান্ত রোগে ক্ৰক্ষেপ করেন না এবং ৰে ব্যাধি ধনৰানের নিকট অশেষ ধন্ত্রণাদায়ক, জাহাতে তিনি তাশ ক্লেশ জয়