পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩৮ ] ভব করেন না । যিনি শিবিকারোহণে বা যানারোহণে চিরাভ্যস্ত, যে দিন. তাছাকে পদব্রজে ইটিতে হয়, সে দিন তিনি সমূহ বিপদে পতিত হন। আর ধিনি চিরদিন পদব্রজে হাটেন, বিশক্রোশ হঁটিতে হইলেও তাহার কিছুমাত্র । কষ্ট বোধ হয় না। একবার ভাব দেখি, যখন শিবিকাবাহকের স্বপ্রভুকে চারিক্রোশ আনয়ন করিবার পর ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবরে নিজের ক্লাস্তিরদিকে দৃক্পাত না করিয়া তালবৃন্ত দ্বারা তাহাকে বাতাস করিতে থাকে, তৎকালে উহাদের মনের অবস্থা কিরূপ ? যিনি প্রভু, তিনি লজ্জায় অধোবদন, আর বাহকের তাহার কষ্ট দেখিয়াই দয়ার্ডচিত্ত। সেইরূপ যিনি কারাগারে অশেষ’ যন্ত্রণার মধ্যে থাকেন, তিনি তথায় নিজের মুখের পথ দেখিতে পান ; আর যিনি রাজ প্রাসাদে থাকেন, তিনি অনন্ত মুখের মধ্যেও দুঃখের করাল ছায়াদর্শনে ভৌত ও চকিত হয়। সংসারে কেহ সৰ্ব্বমুখে স্বর্থী হন না। আমরা যাহাকে যত সুখী মনে করি, বস্তুতঃ তিনি তত সুখী নন। তাহা যে স্বথটুকুর অভাব আছে, তাছাই র্তাহীকে চিরদিন যন্ত্রণা দেয়। প্রায়েণ সামগ্রবিধেী গুণানাং եւ পরার্থী বিশ্বস্থঙ্গঃ প্রবৃত্তিঃ। ( কুমারসম্ভব ) বিধাত কাহাকেও সৰ্ব্বগুণে গুণান্বিতা বা সৰ্ব্বমুখে স্বর্থী করেন না। কি রাজাধিরাজ, কি পথের কাঙ্গাল, সকলেই ইহসংসারে প্রাক্তন কৰ্ম্মফল ভোগ করির মুখদুঃখের ভাগী হয়। ংসারের অতুল ঐশ্বৰ্য্য ও অতুল বিভব যাদুঘরের কেবল যাদুমাত্র ; ইহাতে প্রকৃত মুখও নাই, শাস্তিও নুই, কেবল জ্বাল ও য়ন্ত্রণ। লিডিয়াধিপতি ক্রেসাসকে মহাত্মা সোলন কিরূপ সন্ধুপদেশ নে ? কিন্তু ঐশ্বৰ্য্যমদে মত্ত হইয়া লিডিয়াধিপতি সেই মহাত্মার কতদূর অপश्रृंगॆन r পরে যখন শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া জীবন্তদাহনার্থ চিতায় স্থাপিত হন, তখনই সেই মহাত্মার মহৎ বাক্য তদীয় হৃদয়াকাশে উদিত হয় এবং তিনিও প্রাশড়য়ে কোথায় সোলন ! কোথায় সোলন ! বলিয়া ক্ৰন্দন করেন। জাহাঙেই তিনি প্রাণে অব্যাহতি পাইরা পুনরায় সিংহাসনে স্থাপিত হন।