পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক হিন্দু-ধৰ্ম্ম । প্রথম ভাগ । প্রথম অধ্যায় । ব্ৰহ্মাণ্ড রহস্যময় । এ জগতের যাবতীয় পদার্থই আমাদের নিকট রহস্যময় । কেবলমাত্র চিরপরিচিত বলিয়াই, উহার রহস্ত বলিয়া প্রতীয়মান হয় না। বস্তুতঃ আমরা যখন যে দিকে যে বস্তু নয়নগোচর করি, তাহাঙ্গ আমাদের সসীম বুদ্ধির নিকট একটা প্রকাগু রহস্ত । তুমি যে বিষয়টা যত উৎকৃষ্টরূপে শিক্ষণ কর না কেন, যথার্থ বলিতে কি, তাহাই তোমার নিকট তত বিরাট রহস্ত । তুমি যতই কেন বিজ্ঞানশাস্ত্র অনুশীলন কর না, তুমি বস্তুমাত্রের কেবল বাহ্যস্তরট বুঝিতে পার এবং উহা লইয়াই চিরদিন আন্দোলন কর ; কিন্তু যদি তুমি উহার গভীরতম প্রদেশে প্রবেশ করিতে চেষ্টা পাও, অন্ধকার ক্রমশঃ গাঢ় হইতে গাঢ়তর হয় এবং তুমিও ক্ষুঃমনে প্রত্যাবৰ্ত্তন কর । যাহারা সংসারে গণ্ডমূর্খ, তাহদের নিকট কিছুই রহস্যময় বলিয়া বোধ হয় না ; আর র্যাহারা যত জ্ঞানী ও যত প্রাজ্ঞ, তাহাদের নিকট বস্তুমাত্রেই তত রহস্তময় । এই যে চন্দ্র, স্বৰ্য্য, গ্রহ ও নক্ষত্রগণ প্রতিদিন তোমার নয়নসমক্ষে বোমমার্গে উদিত, অস্তমিত বা বিলীন হয়, উহাদের বিষয় তুমি কি জান, বল ? স্বৰ্য্য সৌরজগতের কেন্দ্রস্থল, গ্ৰহগণ উহার চতুর্দিকে দিবারাত্র অমিতবেগে ভ্ৰাম্যমাণ এবং উহা হইতে আলোক, উত্তাপ ও জীবনীশক্তি