পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 8 ) বায়ু দেবতা বিশেষ, দার্শনিক যুগে উহা একটা ভৌতিক পদার্থ, বৈজ্ঞানিকযুগে উহা আমজন ও যবক্ষার জনের মিশ্র সংযোগ মাত্র । ஆச் এইরূপে মানবের জাতীয় জ্ঞান ভাণ্ডার যুগে যুগে পরিবর্তিত ও পরিবৰ্দ্ধিত। এ জগতে উন্নতিরও সীমা আছে, অবনতিরও সীমা আছে। যখন মানব জ্ঞানের চরমসীমায় উপনীত হন, তখন খণ্ড প্রলয় উপস্থিত হইয়া ভৌতত্বিক পরিবর্তন দ্বারা মহাদেশবিশেষ জলমগ্ন হয় এবং সমুদ্রের গর্ভস্থ ভূমিখণ্ড উত্থিত হইয়া মহাদেশে পরিণত হয় । সেই খণ্ড প্রলয়ে জাতীয় জ্ঞানভাণ্ডার লুপ্তপ্রায় হইয়া যায় এবং নবোথিত মহাদেশে যে নবমানবজাতি আভিভূত হয়, তাহাদিগকে পূৰ্ব্বতন জ্ঞানের পুনরভিনয় করিতে হয়। এখন জিজ্ঞাস্য, মানব জীবনের কুটপ্রশ্ন কি, যাহা মীমাংসা করিবার জন্ত মানব চিরদিন সমভাবে সমুৎসুক ? এ পৃথিবীর আদি ও অন্ত কোথায় ইহার স্বাক্টকর্তী কে, কিরূপেই বা ইহা স্বল্প হইল, কতদিন হইল ইহা স্বল্প হইয়াছে কতদিনই বা ইহা রহিবে, পরেই বা কি হইবে, তুমি কোথা হইতে আসিলে, কোথায় বা যাইবে, কেন তুমি সুখ দুঃখের ভাগী হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছ, তোমার জীবনের মহৎ উদ্দেশু কি ? এই সকল প্রশ্নই মানব জীবনের কুটপ্রশ্ন । এই সকল কুটপ্রশ্ন মীমাংসা করিবার জন্য মানব চিরদিনই স্বীয় অসীমবুদ্ধি চালনা করেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, তিনি কোন কালে ইহাদের ভালরূপ মীমাংসা করিতে সমর্থ হন না । এই সকল কুট প্রশ্ন মীমাংসা করিবার জন্য তিনি বুদ্ধিবলে কত দর্শনশাস্ত্র, কত বিজ্ঞানশাস্ত্র রচনা করেন ; কিন্তু সকলশাস্ত্রই তাহাকে সমস্বরে বলে, এ সকল বিষয় মানবমনের অজ্ঞেয় । কেবলমাত্র অতি প্রাচীনকালে বা পূৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব যুগে যোগেশ্বরদিগের সমাধিস্থ আত্মায় এ সকল বিষয়ের সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রতিভাত হইত। 鶴

এখন জিজ্ঞাস্য, মানবের জ্ঞানশক্তি কি প্রকারে উদ্ভূত ? বিজ্ঞানের মতে সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর ব্যাপিয়া জাতীয় সাধনার গুণে মানবমস্তিষ্কের অধিক শান্তি হওয়াতে কালক্রমে তাহার জ্ঞানশক্তি ক্রমবিকশিত। আধ্যাত্মবিস্তুtনের মতে, যুগধৰ্ম্মে মানবের আধ্যাত্মি তার হ্রাস হওয়াতে, জগতের অধি