পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o [ ১৫ } ভৌতিক উন্নতিসাধনের জন্য র্তীস্থার জ্ঞানশক্তি ক্রমবিকসিত । সভ্য মানবের জ্ঞানশক্তি যেরূপ স্ফুরিত, অসভ্য বৰ্ব্বর মানবের বুদ্ধি সেইরূপ অঙ্কুরিত। আবার বর্বর মানবের বুদ্ধি বনমানুষের বুদ্ধির সহিত তুলনা করিলে, উহাদের ভিতর বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়। অতএব মানববুদ্ধি এ জগতে বৈশেষিক। মানবের এই জ্ঞানশক্তি চিরদিনই অসম্পূর্ণ ও সসীম। অনুশীলনবলে, সাধনবলে ইহা ক্রমোন্নত হইবে এবং ক্রমোন্নত হইয় তাহার আধিভৌতিক সুখসম্ভার বৃদ্ধি করিবে, এজন্ত প্রাথমিক অবস্তায় ইহা এত ভ্রমসঙ্কুল ও প্রমাদগ্ৰস্ত হয়। কিন্তু নিকৃষ্ট জন্তুদিগের নৈসর্গিক সংস্কার কদাচ প্রমাদগ্ৰস্ত হয় না । জগতে উহাদের উন্নতিও নাই, অবনতি ও নাই ; উহার প্রাকৃতিক সাম্যাবস্থায় অবস্থিত । মানবের জ্ঞানশক্তি যেমন স্ফুরিত র্তাহার নৈসর্গিক সংস্কার তেমনি ক্রমশঃ অস্ফুরিত ও মন্দিভূত। তিনি কেবল জ্ঞানশক্তির উন্নতিসাধন করিয়া জগতে অ প্রাকৃত অবস্থায় থাকিতে চাহেন । এই জ্ঞানশক্তি যতই কেন ফুরিত হউক না, যতই কেন উন্নত হউক না, বিশ্বের কার্য্যকারণ সম্বন্ধে তাহার প্রকৃত জ্ঞানপিপাসা কদাচ শাস্ত হয় না এবং কস্মিনকালে তিনি এ জগতে জ্ঞানের চরম সীমায় উপনীত হইতে পারেন না। অথচ যে সময়ে তিনি যেরূপ জ্ঞানলাভ করেন, তাহাই তাহার নিকট অভ্রান্ত ও মহৎ সত্যজ্ঞানে পূজিত ; তাহাই আবার ভূয়োদর্শনে বহুকাল পরে অসত্যজ্ঞানে উপেক্ষিত হইতে দেখা যায়। তাহার সাক্ষ্য, দেখ না পূৰ্ব্বে ধরিত্রী অচলা ছিলেন, এখন কিনা উহা অমিতবেগে অহৰ্নিশি ভ্ৰাম্যমান । যথার্থ বলিতে কি, রহস্যময়ী প্রকৃতির মহাসত্যগুলি আমাদের এই ভ্রমসম্বুল জ্ঞানশক্তির উপর চিরদিন যেন অট্টহাসিয়া বিদ্রুপ করে । আমরা উহাদিগকে পাইবার জন্ত সাধ্যমত চেষ্টা করি বটে ; কিন্তু উহার। আমাদিগের নিকট হইতে ততই দুরে পলায়ল করে, কেবলমাত্র মধ্যে মধ্যে অত্যন্ত্রমাত্র আভাস দিয়াই আমাদিগকে চরিতার্থ করে। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব যুগে মহাত্মাগণ যোগাভ্যাস দ্বারা সৰ্ব্বজ্ঞ আত্মার অষ্টসিদ্ধি ক্ষুরণ করতঃ যোগবলে মহাসতা প্রাপ্ত হইতেন । এখন এ কলিযুগে আম । কেবলমাত্র প্রকৃতিপুস্তক অধ্যয়ন করিয়া প্রকৃতির মহাপত্য অবগত হই এবং জাতীয় জ্ঞান ভগ গুrর Uttarpers Jaskrishna Public Library 4con. No. سیده .قدمت * அமம்