পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و لا ] অঙ্গুসন্ধান করিয়া জ্ঞানোন্নতি করি। সত্যসংগ্রহে আমাদের সমস্ত চেষ্টা, যত্ন ও পরিশ্রম প্রায় বিফল হয়। এজন্য জগৎবিখ্যাত নিউটন সাহেব বলেন, “জ্ঞানসমুদ্র পুরোভাগে অক্ষুন্ন, আমি উপকূলে দণ্ডায়মান হইয়া উপলথ গুমাত্র সংগ্ৰহ করিতেছি” এবং পণ্ডিতপ্রবর সক্রেটিশ বলেন “অrমি এইমাত্র জানি, যে আমি কিছুই জানি না।” এজন্য প্রকৃতির গৃঢ়রহস্তজ্ঞ মহাকবি সেক্ষপীয়ার not-fo on—“There are many things more in this world, Horatio, than your Philosophy can dream of.” দর্শনশাস্ত্র যাহা ভাবে, তদ্ব্যতীত সংসারে আরও অনেক বিষয় অাছে। বস্তুতঃ আমরা সসীম জ্ঞানশক্তিবলে এ জগতের কোন বিষয়ের আদ্যন্ত পাই না, বা পাইব না । প্রকৃতির মহাসত্য অবগত হওয়া মানবজীবনের একটা প্রধান উদ্দেশু । “নাস্তি সত্যাৎপরে ধৰ্ম্মঃ ।” সত্য লাভ অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্ম এ জগতে আর কিছুই নাই। পরমার্থজ্ঞান বা তত্ত্বজ্ঞান লাভ করাতেই জীবাত্মার যথার্থ শ্রেয়োলাভ ও মঙ্গললা ভ এবং তত্ত্বজিজ্ঞাসাই জীবনের মহৎ ব্রত । हेशब्रखछहे भनाउन হিন্দুধৰ্ম্ম চিরদিন জ্ঞানমার্গের এত অনুশীলন করে এবং উহার এত প্রশংসা করে। তত্ত্বজ্ঞানলাভেই মহাত্মাগণ জীবন্মুক্ত হন। জগতে সত্যের বিনাশ নাই । সত্য চিরদিনই নিজ জ্যোতি সমভাবে বিকীর্ণ করে। পৃথিবীর অাহিক ও বার্ষিক গতির কথা প্রচার করাতে যে সকল পাদরীপুঙ্গবের মহাত্মা গ্যালিলিয়োকে কারারুদ্ধ করেন, তাহার কি সেই প্রকার পাশব অত্যাচারে পৃথিবীর অাহিকগতি বন্ধ করিতে পারেন? দেখ, সেই সকল দ্বরাচারগণ অনন্তকালে বিলীন হইয়া গিয়াছে ; কিন্তু মহাত্মা গালিলিয়ো এখনও জগতে জীবিত আছেন,“কীৰ্ত্তি যস্য স জীৰতি” । : "একমেবাদ্বিতীয়ং” এর বার্তা প্রচার করাতে, যে সকল নরাধম যীশুখৃষ্টকে ক্রুসে বিদ্ধ করিয়া হত্যা করে, তাহারা কি জগতে একেশ্বরবাদ বন্ধ করিতে পারে ? দেখ, তাহারা সকলে কে কোথায় চলিয়া গিয়াছে ; কিন্তু যীশুখৃষ্ট জগতে অদ্বিতীয় হইয়া আছেন এবং খৃষ্টজগতে কোটা কোটা মানব তাহারই ধৰ্ম্মামৃত পান করতঃ জীবন সার্থক করেন।