পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ רל ] রহস্যময় ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করিতে সদ ব্যগ্র হও । অধ্যাত্মবিজ্ঞান, দর্শন ও জড়বিজ্ঞানের মহাসত্য অবগত হইয়া জীবাত্মার অপার উন্নতিসাধন করিতে সচেষ্ট হও । পরমার্থজ্ঞান লাভে মনপ্রাণ অর্পণ কর এবং চিরজীবন সৰ্ব্বত্র ইহারই অন্বেষণ কর; তাহ হইলেই তোমার মানবজীবন ধন্ত ও সার্থক হইবে । foom অধ্যাত্মবিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র ও জড়বিজ্ঞান । প্রথম দর্শনশাস্ত্র ও জড়বিজ্ঞানের উৎপত্তিবিষয় কিঞ্চিৎ লেখা যাউক ; পরে অধ্যাত্মবিজ্ঞানের বিষয় যৎকিঞ্চিৎ উল্লেখ করা যাইবে। বিজ্ঞানবিৎপণ্ডিতদিগের মতে মানবের জাতীয় ইতিহাসে জ্ঞানোন্নতি সশ্বন্ধে তিনটী যুগ বর্তমান ; (১) অসভ্য যুগ, (২) দার্শনিক যুগ (৩) বৈজ্ঞানিক যুগ। অসভ্য যুগে অশিক্ষিত মানব জগৎকে বিভীষিকাময় দর্শন করেন এবং ভীতিসংবলিত চমৎকার রস কর্তৃক চালিত হইয়া কল্পনাবলে সকল বিষয়ের কাল্পনিক কারণতত্ত্ব উদ্ভাবন করতঃ আপনার দুৰ্ব্বল মনকে সাস্তুনা করেন। আধুনিক অসভ্য মানবসমাজ দর্শন কর, জগতের এ অবস্থাটী তোমার সম্যক বোধগম্য হইবে। পরে জাতীয় সাধনার গুণে বিদ্যাবুদ্ধির ক্রমোন্নতির সহিত অসভ্যাবস্থা হইতে উন্মুক্ত হইয়া মানব সভ্যতাসোপানে আরূঢ় হইলে পর, তিনি জাতীয় মুখবৰ্দ্ধনোদেশে জীবনের ও জগতের কূটপ্রশ্ন মীমাংসায় স্বীয় উন্নত ও মার্জিত বুদ্ধিশক্তি চালনা করেন। এস্থলে স্বাভিপ্রায় সাধনোদেশে তিনি দুইটী বিপরীত পথ ( দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক পথ ) দেখিতে পান । প্রথমতঃ তিনি বহুদিৰস দার্শনিক পথে বিচরণ করেন ; অবশেষে ঐ পথের অসারত্ব দর্শনে অশেষ ফলপ্রদ বৈজ্ঞানিক পথ অনুসরণ করিতে আরম্ভ করেন । অধ্যাত্মবিজ্ঞানবিং মহাত্মাদিগের মতে স্বষ্টির সত্য ত্রেতা-দ্বাপর যুগে অধ্যাত্মবিজ্ঞান সম্যক অনুশীলিত হয় । তৎপরে যুগধৰ্ম্মানুসারে মামবের আধ্যাত্মিক অপগমনের সঙ্গে তদীয় মনে জ্ঞানশক্তি ফুরিত হইলে, যদিও