পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯ } জাজ ভুবনবিখ্যাত। সেইরূপ গ্ৰীশদেশে পিথাগোরাস, সফ্রেটিশ, প্লেটো, আপ্লিষ্টটল, স্ট্রাবো, ডিমোক্রাইটস প্রভৃতি পণ্ডিতগণ দর্শনশাস্ত্রের উন্নক্তি সাধন করেন। গ্ৰীকদর্শনের সস্থিত ছিন্দুদর্শনের তুলনা করিলে, শেষোক্তটা যে উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত, তাহা বিজাতীয় পণ্ডিতেরাও মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন। যথার্থ বলিতে কি, যেমন সংস্কৃত দেবভাষা ও সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম জামাদের পূৰ্ব্বতন গৌরবের প্রধান কীৰ্ত্তিস্তম্ভ, সেইরূপ হিন্দুদর্শনও আমাদের জাতীয় উন্নতির আয় একটা প্রধান স্মৃতিচিহ্ল । যে জাতি মানবমনের এত গভীরতম প্রদেশে অনুপ্রবেশ করেন, সে জাতি জগতে কতদূর উন্নতি সাধন করেন, সে বিষয়ে কেহ কি কিছুমাত্র সন্দেহ করিতে পারেন ? গ্ৰীকদিগের নিকট হইতে রোমানেরা এ বিদ্যা প্রাপ্ত হয়। পরে মধ্যযুগে সমগ্র ইউরোপ গ্ৰীশ ও রোমের ভগ্নাবশেষ অনুশীলন করিয়া আধুনিক সভ্যতাসোপানে অধিরোহন করিতে সমর্থ হয়। অতএব সাহস্কারে বলা উচিত, আধুনিক উৎকৃষ্ট সভ্যতার মুলীভূত কারণ হিন্দুদিগের দর্শনাদি বিদ্য। তাহার সাক্ষ্য দেখ না, আমাদিগেরই গণিতশাস্ত্র পৃথিবীস্থ যাবতীয় জাতির গণিতশাস্ত্রের আদিগুরু এবং আমাদেরই গণনাপদ্ধতি এখন সকল সভ্যদেশে প্রচলিত। হিন্দুজাতির নিকট অন্যান্য জাতি নানাবিষয়ে কিরূপ ঋণগ্রস্ত, সে বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব নিতান্ত অসম্পূর্ণ হইলেও এখম কিছু কিছু নির্দেশ করে । এখনও এসিরিয়া ব্যাবিলন ও মিসরদেশের প্রাচীন ইতিহাস সম্যক আবিষ্কৃত হয় নাই ; সেজন্য প্রাচীনকালে ভারতের সহিত উহাদের কিরূপ সংস্রব ছিল, তাহা প্রায় অজ্ঞাত। হিন্দুজাতি চিরদিন দর্শনশাস্ত্রের অনুশীলনে কিরূপ অনুরক্ত, তাহ। পণ্ডিতবব ম্যাক্সমুলার সাহেবের একটা কথায় সম্যক প্রকাশ পায় । তিনি হিন্দুজাতিকে দার্শনিকজাতি বলিয়া অশেষ মুখ্যাতি করেন। যে ইংরাজজাতি জাজ বাণিজ্য বলে জগতে অগ্রগণ্য, সে জাতি অন্তান্ত জাতির foot oftotawigo offs (a nation of shop-keepers) of oil প্রখ্যাত । সেইরূপ আমরাও চিরদিন দর্শনশাস্ত্রের অনুশীলনে রত «fini stats artfē3 frð stoffR-F-stfs ( a nation of philosophers ) বলিয়া প্রখ্যাত। যথার্থ বলিতে কি, আমাদের এত ভধিক