পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २० ] আধ্যাত্মিক স্ফৰ্ত্তি কেবলমাত্র দর্শনশাস্ত্রের প্রগাঢ় অনুশীলন হইতে উপজাত এবং দর্শনশাস্ত্রের আলোচনা করিয়াই আমরা ধৰ্ম্মপথে ও আধ্যাত্মিক পথে এত অগ্রসর । * পুরাকালে জ্ঞানজগতে দর্শনশাস্ত্রেরই সম্যক সমাদর হয়। তৎকালে স্বধীবর্গের মানসিক শক্তি এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যার অনুশীলনে ব্যয়িত হয় এবং তাহার। ইহাতেই অপার আনন্দ উপভোগ করেন। তৎকালে তাহার ইহারই সম্যক অমুশীলন করিয়া আপনাদের আধ্যাত্মিকতা ও জ্ঞানশক্তির শৰ্ত্তি করিতে চেষ্টা পান। ইহা জ্ঞানজগতের একটা জলন্ত সত্য, যুগধৰ্ম্মীমুসারে প্রাকৃতিক কারণে মানববুদ্ধির যেরূপ পরিবর্তন ঘটে, বিদ্যান্থশীলনেরও প্রায় তদনুরূপ পরিবর্তন দৃষ্ট হয় । তোমার নিকট দর্শনশাস্ত্র এখন জটিল ও দুর্বোধ্য, কিন্তু বিজ্ঞানশাস্ত্র সহজ ও সুগম। এখন তুমি পুরাণকাহিনী ভাল বাস না, কিন্তু তৎপরিবর্তে তুমি ইতিহাসের সম্যক আদর কর। বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ বলেন, দর্শনশাস্ত্রের অনুশীলন দ্বারা মানববুদ্ধি ক্রমশঃ প্রখর হয় এবং এই প্রকারে ইহা আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের পথ পরিষ্কৃত করিয়া দেয় । খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাবিতে জগৎ-বিখ্যাত পণ্ডিত বেকন সাহেব আরিষ্টটলের মতানুযায়ী জ্ঞানামুশীলনের নুতনমার্গ প্রদর্শন করেন। তদবধি পাশ্চাত্যজগতে পুরাতন মার্গানুস্থত দর্শনশাস্ত্রের পূর্ব গৌরব খৰ্ব্ব হইয়া যায় এবং নববিজ্ঞানের অভু্যদয় হয় । তিন শত বৎসরের মধ্যেই নববিজ্ঞান অতিক্রতপদে উন্নতিপথে কিরূপ অগ্রসর এবং উহার অসাধারণ উন্নতিতে সমগ্র জগৎ আজ কিরূপ বিমুগ্ধ, তাহা সকলেই জানেন। সুবিশাল জ্ঞানবৃক্ষের ভিন্ন ভিন্ন শাখা লইয়া আজ নানা বিজ্ঞানশাস্ত্র রচিত এবং উহাদের উন্নতিও আজ অলৌকিক। নববিজ্ঞানের কল্যাণে পাশ্চাত্যজগৎ আজ প্রভাতাজ্যোতিতে উদ্ভাসিত এবং উহার যশসৌরভ আজ দিগদিগন্ত ব্যাপ্ত। নববিজ্ঞানের সাহায্যে পাশ্চাত্যজগৎ আজ সমগ্রজগৎ গ্রাস করিতে উদ্যত এবং উহার ভয়ে সমগ্র জগৎ ভীত ও ত্রস্ত। নববিজ্ঞানের সাহায্যে জ্ঞানজগতে আজ অসংখ্য অসংখ্য সত্য আবিষ্কৃত এবং মানবসমাজের সুখবৰ্দ্ধনের জন্ত অসংখ্য অসংখ্য উদ্ভাবনা আজ পরিকল্পিত । নববিজ্ঞানের সাহায্যে