পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २७ ] চৰ্ম্মাবৃত হয় এবং যেরূপভাবে তাহীর তৃতীয় নয়ন ক্রমশঃ অপগত হইতে থাকে, তাহার আধ্যাত্মিকতা সেই পরিমাণে হ্রাস প্রাপ্ত হয় এবং সেই সঙ্গে অধ্যায়ুবিজ্ঞানও মানবসমাজে গুপ্ত হইয়া যায়। এজষ্ঠ গীতায় প্রীকৃষ্ণ বলেন— “স কালেন মহতা যোগোনঃ পরস্তুপ।” “হে অৰ্জুন ! সেই যোগ বহুকালে নষ্ট হইয়া যায়।” মানবসমাজে ইহা ক্রমশঃ লুপ্ত হয় বটে ; কিন্তু কোন কোন দেশে যোগেশ্বর মহাত্মাগণ, এ শাস্ত্র চিরদিন অনুশীলন করেন, যেমন ভারতবর্ষ, তিববৎ প্রভৃতিদেশ এবং কোন কোন দেশে মন্দিরের গুপ্তদীক্ষায়: এ. শাস্ত্র দীক্ষিত হয়, যেমন: গ্ৰীশদেশ। জনসাধারণ এ শাস্ত্রের বিষয় অবগত হইলে, যোগের অষ্টম সিদ্ধিলাভের জন্তু অতীব ব্যগ্র হয়। ইহাতে কলিকালে মানবসমাজের প্রভূত, অনিষ্ট্রোৎপত্তি হইবার সম্ভাবনা ; এজন্ত মহাত্মীগণ যুগধৰ্ম্মে বাধ্য হইয় অধ্যায়ুবিজ্ঞান সাধারণ মানবমণ্ডলীর ভিতর গোপন করেন । র্তাহারণ নিভৃতস্থলে বা গিরিগহবরে থাকিয় এ স্বৰ্গীয় শাস্ত্র অনুশীলন করেন। অধ্যয়ন দ্বারা এ. শাস্ত্রে, ব্যুৎপত্তিলাভ হয় না। সদগুরুর কৃপা ব্যতীত ও যোগাভ্যাস ব্যতীত, এ শাস্ত্রে, কাহারও প্রবেশাধিকার নাই। যাহার আধ্যাত্মিকত যেরূপ স্ফরিত, অধ্যাত্মবিজ্ঞান তাহার সেইরূপ আয়ৰ। এ শাস্ত্র, আল্পত্ত, করা, কলিকলুষিত, মানবের দুঃসাধ্য। কোন মহাত্মাকে এ, পাপনয়নে দর্শন করি নাই বা কোন, মহাত্মার সন্ধুপদেশ এ পাপকর্ণে, শ্রবণ, করি নাই, কেমন করিয়৷ সেই স্বগীয় অধ্যায়ুবিজ্ঞানের বিষয়অরগত হইব: যে সকল, যোগেশ্বর, মহাত্মাগণ সময়ে সময়ে গুপ্ত অধ্যায়ুবিজ্ঞানের যৎকিঞ্চিৎ জগতে প্রচার করেন, তন্মধ্যে বশিষ্ঠাদি মহর্ষিগণ, জরথুস, শ্ৰীকৃষ্ণ; ব্যাসদেব, ঋবল্পদের, যোগাচাৰ্য্য, কপিলদেব, হারমিজ, মুম্বা, কনফুউসস বুদ্ধদেব, প্লেটো, ঈষ, মহম্মদ ও শঙ্করাচাৰ্য্য বিখ্যাত। তাহার জনসাধারণের নিকট এই স্বৰ্গীয়শাস্ত্রের অত্যন্ন মাত্র প্রচার করেন। কিন্তু তাহার। ইহার যৎসামান্ত যাহা সাধারণুভাবে প্রচার করেন এবং যেরূপ অলৌকিক যোগবল