পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ وه چ } করতঃ উহাকে জগতে প্রচার করেন । অতএব দশনশাস্ত্র প্রণেতাগণ কোন পুৰ্ব্বতনগ্রন্থপাঠে নিজ নিজ মতামতে সুবিশারদ হইয় তাহ স্বপুস্তকে লিখিয়া যান, তাহা ও নির্দেশ করা যায় না । পুরাকালে জনসাধারণের বুদ্ধিশক্তি বেরূপ ফুরিত হউক না কেন, দর্শনশাস্ত্রপ্রণেতাগণ যে সমধিক প্রতিভাশালী, তদ্বিষয়ে অনুমাত্র সন্দেহ নাই। তাহীদের বিরচিত গ্রন্থাবলি এখন এত তুবোধ্য, যে ভাষ্য ও টীকা ব্যতীত সে সকল আদেী বোধগম্য হয় না। আরও দেখা যায়, যে শাস্ত্র যত প্রাচীন, সে শাস্ত্র তত দুবোধ্য ও দুরূহ। ঐরূপ হইবার প্রকৃত কারণ কি ? ইহাতে কি বোধ হয় না, যে পুরাকালের মহোদয় পণ্ডিতবর্গ আমাদের অপেক্ষা অধিক প্রতিভাশালী, অথবা ঘুগধৰ্ম্মে আমাদের আধ্যাত্মিকতা হ্রাস পাওয়াতে আমরা এখন ততদূর আধ্যাত্মিকতা বুঝিয়। উঠিতে পারি না ? যে কারণে হউক না কেন, তাহাদের বিরচিত গ্রন্থগুলি আমাদের নিকট এখন জটিল হইতে জটিলতর। তাহার সাক্ষ্য দেখ না, এক বেদান্তের অর্থ শঙ্করাচার্য্যদেব কিরূপ করেন ও রামানুজস্বামীই বা কিরূপ করেন ? পূৰ্ব্বতন গ্রন্থগুলির বিভিন্ন অর্থ ও প্রত্যৰ্থ হইয়াই ত এখন নানামুনির নানামত জগতে প্রচলিত । দর্শনশাস্ত্রগুলি অধ্যাত্মবিজ্ঞানের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে সম্বন্ধ । যদি অধ্যাত্মবিজ্ঞানকে আদিগুরু বলা যায়, দর্শনশাস্ত্রগুলি সেই মহামহিম, পূজ্যতম আদিগুরুর লোক প্রখ্যাত শিষ্য মাত্র । ভারতবর্ষ, চীন, মিসর, ক্যাণ্ডিয়া, পারস্ত, গ্রীশ প্রভৃতি যে সকল সভ্য জনপদ বর্গে যে সকল দর্শনশাস্ত্র বিরচিত হইয়া লোকসমাজে প্রখ্যাত হয়, তত্ত্বৎ দেশের দর্শনশাস্ত্র প্রণেতাগণ সেই প্রাচীনকালের অধ্যায়ুবিজ্ঞানের কিছু কিছু মহামত্য প্রাপ্ত হইয়৷ স্বমত পোষণ করতঃ স্বদেশে তাহা প্রচার করেন । একথারও ঐতিহাসিক প্রমাণ দেওয়া এখন মুকঠিন। কত কত যোগী, মহাত্মা, পয়ম্বর ও মহর্ষি কত লোককে কত অধ্যায়ুবিজ্ঞানের মহাসত্য মৌখিক উপদেশ দিয়া যান, তাহা কেচ কি বলিতে পারেন? অধ্যায়ুবিজ্ঞানই যাবতীয় দর্শনশাস্ত্রের মূল । সমগ্র দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করিলে, আজকাল গুপ্ত অধ্যায়ুবিজ্ঞানের অল্পাধিক আভাস পী ওয়া যায় ।