পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २१ } এ কলিযুগে অধ য়ুবিজ্ঞান কদfচ লোক প্রখ্যাত হয় নাই । সেজন্ত দশনশাস্ত্রগুলিকে লোকপ্রখ্যাত করিবার জন্ত তত্তং প্রণেতাগণ সাধ্যমত চেষ্টা পান এবং ভ্রমসংকুল মানববুদ্ধির সাহায্যে লিগিয়৷ সাধারণলোকের বোধগম্য কবিতে চেষ্ট। পান । মহাত্মাগণ বলেন, কণিমুগবদ্ধনের সঙ্গে অধ্যা য়ুবিজ্ঞান ক্রমশঃ গুপ্ত হইলে ইহার পরিবর্তে দর্শনশাস্ত্র গুলি মানবসমাজে প্রচলিত হয়। ইহার ও মানবজীবনের কূট প্রশ্ন মীমা-সা করিতে বিশেষ ধাস পায বটে, কিন্তু সে পথে ইহারা অধিকদূর অগ্রসর হইতে পারে নাই, ঘ হেতুক মানববৃদ্ধি চিরদিনই অসম্পূর্ণ । প্লেটো, বুদ্ধদেব প্রভৃতি অধ্যাত্মবিজ্ঞানবিং মহাত্মীগণ গুপ্তপরমাথবিদ্যা সম্বন্ধে জনসাধারণের নিকট কিছুমার প্রকাশ করেন নাই ; কিন্তু তাহার সে বিষয় দুই একজন যোগ্য প্রি শিষ্যের নিকট প্রকাশ করেন । সেইরূপ যোগেশ্বর শ্ৰীকৃষ্ণ ও প্রিয়সখা অৰ্জুনকে অধ্যাত্মযোগ গোপনে প্রকাশ করেন। তাহারই কিয়দংশ গীতায় লিখিত হইয়া লোকপ্রখ্যাত হয়। সেইণ্ড দ্যই চিরদিন হিন্দুসমাজে গীতার এত অধিক সমাদর। আর যদি তুমি মনে কর, কোন এক সুপণ্ডিত লোকদিগকে অধ্যাত্মবিজ্ঞানের কিঞ্চিৎ শিক্ষণ দিবার জন্যই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধস্থলে শ্রীকৃষ্ণের অমৃতময় মুখবাণী হইতে ঐ সকল মহাসত্য নিঃসারিত করান এবং যদি তুমি গীতাকে "হাটের মধ্যে ব্ৰহ্মজ্ঞান” বলিয়া উড়াইয়া দেও, তুমি হিন্দুসমাজের একজন অকালকুষ্মা গু । অধ্যায়ুবিজ্ঞান ও দর্শনশাস্ত্র উভয়েই একপথের পথিক । উভয়েই মানবজীবনের কুট প্রশ্ন মীমাংসায় রত। প্রভেদের মধ্যে এই যে, প্রথমতঃ অধ্যাত্মবিজ্ঞান সত্য ত্রেতা দ্বাপরযুগের শাস্ত্র ও দেবাস্তুরদিগেব শাস্ত্র, আর দর্শনশাস্ত্র কলিযুগের শাস্ত্র ও আধুনিক মানবের শাস্ত্র ; দ্বিতীয়তঃ অধ্যাত্ম- , বিজ্ঞান যোগবলে সমাধিস্থ আত্মায় প্রতিভাত হয়, আর দর্শনশাস্ত্র ভ্রমস স্কুল মানববুদ্ধিযোগে অনুশীলিত হয়, এজন্য ইহা সময়ে সময়ে মহৎ ভ্ৰমেও পতিত । কিন্তু অধ্যাত্মবিজ্ঞানের ভ্রম নাই, পরিবর্তন নাই। সকল দেশের সকল সময়ের মহাত্মীগণ প্রায় একরূপ মতামত অবলম্বন করেন। প্রত্যেক যোগীর মনে আধ্যাত্মিকতা যেরূপ ফুরিত হয়, তিনি তদনুরূপ অধ্যায়বিজ্ঞানের মহাসত্য হৃদয়ঙ্গম করেন। যোগেশ্বর বুদ্ধদেবের মনে যে পরি