পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১ } ف= বিকার ; ইন্দ্ৰিয়াতীত স্থশ্ববৃদ্ধি ও সূক্ষ্মপদার্থের ক্রমবিবৰ্ত্তনে ইন্দ্রিয় গ্রাহ, স্কুল বিশ্বপ্রপঞ্চ স্থঃ । কিন্তু বিজ্ঞানের মতে কেবলমাত্র জড় ও শক্তির ংযোগে ও বিয়োগে এ জগৎ স্বঃ ; ইহার মতে স্তন্মবুদ্ধি স্থলজড়ের চরম পরিণাম, স্থলজড় ভৌতিক নিয়মানুসারে ক্রমবিবৰ্ত্তিত হইয়া উৎকৃষ্ট জীবদিগের স্বল্পবুদ্ধি উৎপাদন করে। দর্শনের মতে মানববুদ্ধি বৈশেষিক ও স্বৰ্গীয়, পশুবুদ্ধি হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন । বিজ্ঞানের মতে মানববুদ্ধি ও পশুবুদ্ধিতে পরিমাণগত বিস্তব প্রভেদ থাকিলেও বস্তুতঃ কোন প্রকারগত প্রভেদ নাই ; কেবল মানবের মস্তিষ্ক অধিক ফুরিত হওয়ায় তাহার বুদ্ধি শক্তি এত অধিক ফুরিত। দর্শনের মতে মানবজাতি ব্যতীত উৎকৃষ্ট বুদ্ধিবিশিষ্ট বিভিন্ন অবস্থাপন্ন জীব অন্ত অদৃপ্ত জগতে বিদ্যমান ; কিন্তু বিজ্ঞানের মতে উহা এক প্রকার অসম্ভব কথা। - দর্শনের প্রধান উদ্দেশু মানবের আধ্যাত্মিক উন্নতি ; কি প্রকারে র্তাহীর আত্মার প্রকৃত উন্নতিসাধন হয় ; কি প্রকারে তিনি এ জগতের দ্বন্দ্বজ ক্ষণস্থায়ি আধিভৌতিক মুখ দুঃখ উপেক্ষা করতঃ প্রকৃত আধাত্মিক মুখে সুখী হন। ইহার মতে মানবের চরম উন্নতি, কি প্রকারে তিনি যোগবলে অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হন ; কি প্রকারে তাহার আয়ায় অষ্টসিদ্ধি ফুরিত হইয়া তিনি যোগবলে বলীয়ান হন ; কি প্রকারে ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তিগুলি ফুরিত হইয়া তিনি দেবত্বে পরিণত হন। বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশু মানবের আধিভৌতিক উন্নতি ; কি প্রকারে তিনি এ জগতে অশেষ ভৌতিক সুখে সুখী হন ; কি প্রকারে তিনি নিজ বুদ্ধি বলে প্রকৃতির বিপক্ষে গমন করতঃ আপন ইন্দ্রিয় সুখসম্ভার বৃদ্ধি করেন । ইহার নিকট এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমাণ জগৎই সৰ্ব্বস্ব এবং এই স্থলজগতের উপর আধিপত্য বিস্তারই ইহার চরম উদ্দেশু। বিজ্ঞান কেবল মানবের বুদ্ধিশক্তির প্রাধান্ত স্বীকার করে এবং বুদ্ধি বলে তাহাকে দেবত্বে পরিণত করিতে চাহে। ইহার মতে ধৰ্ম্ম মানবমনের দুৰ্ব্বলতামাত্র । to বিজ্ঞানের মতে এ জগতের এক অজ্ঞেয় কারণ থাকিলেও থাকিতে পারে ; কিন্তু ইহ লোক প্রখ্যাত বা লৌকিক ঈশ্বকের অস্তিত্ব মানে না ।