পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ૭ર ] ইস্থার মতে আত্মার ও অস্তিত্ব নাই, পরলোকেরও অস্তিত্ব নাই এবং মানবের যথাসৰ্ব্বস্ব মানবমন কেবল মানবমস্তিষ্ক হইতে উৎপন্ন বা উহার ক্রিয়া মাত্র । পঞ্চেন্দ্রিয়যোগে বাহ বস্তুর যে জ্ঞান লাভ করা যায়, তাহাই ইহার মতে একমাত্র প্রমাণসিদ্ধ এবং তাঁহাই একমাত্র বিশ্বসনীয় । ইহার মতে অতীন্দ্রিয় জ্ঞান কল্পনা মাত্র। ইহা অনুমানসিদ্ধ প্রমাণকে একেবারে আগ্রাহ করে এবং যাহা চাক্ষস প্রমাণ, তাহাই সাদরে গ্রহণ করে । এইরূপ নানাবিষয় লইয়া দর্শনের সহিত বিজ্ঞানের ঘোরতর বিবাদ বিসস্বাদ চলিতেছে । এ বিবাদ মিটিয়া যাইবে কি না, বা কত দিনে মিটিবে, তাহ! এখন বলা যায় না । 調 SAASA SAASAASAAAS বিজ্ঞানকর্তৃক দর্শনের দোমোদঘাটন । আধুনিক উন্নত জড়বিজ্ঞানের মতে দর্শনশাস্ত্র অসার, শৃষ্ঠগর্ভ ও কাল্পনিক জ্ঞানে পরিপূর্ণ ; এ শাস্ত্রের আলোচনায় সমাজের তাদৃশ কোন বিশেষ উপকার নাই এবং এই অপদার্থ ও অলীক শাস্ত্র অনুশীলন করিয়াই এতকাল সুধীবর্গ কেবল বিপথে চালিত হন। আজ কাল অনেকেই বলেন, যে দিন হইতে বিজ্ঞান পাশ্চাত্য জগতে পদার্পণ করে, সেই দিন হইতেই মানবসমাজ প্রকৃত জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয় এবং তৎপূৰ্ব্বে উহ। ঘোরান্ধকারে অtছন্ন থাকে। তাহার সাক্ষ্য দেখ না, পাশ্চাত্য জগং বিজ্ঞানালোক প্রাপ্ত হইয়া উন্নতির পথে কিরূপ দ্রুতপদে অগ্রসর, আর প্রাচ্যজগং দর্শনশাস্ত্র অনুশীলন করিরা কিরূপ রক্ষণশীল বা কিরূপ অবনত ? অতএব দর্শনশাস্ত্র অপেক্ষ বিজ্ঞান যে সহস্র গুণে শ্রেষ্ঠ, ষ্ঠবিষয়ে অম্বুমাত্র সন্দেহ নাই। ফলতঃ জগৎ ক্রমশঃ উন্নতির দিকে ধাবমান বলিয়াই আজকাল জ্ঞানের এত উন্নতি ও বিজ্ঞানের এত প্রাদুর্ভাব । বিজ্ঞানের মতে একজন দর্শনশাস্ত্রবিশারদ পণ্ডিত অপেক্ষ একজন অদমাধম জুতানিৰ্ম্মাতা ও সমাজের অধিক উপকারক। দর্শনশাস অনুশীলন