পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ నీ ] করিয়া একজন পণ্ডিত সমাজের যে কি উপকার সাধন করেন, তাই বুঝা যায় না ; কিন্তু একজন জুতা-নিৰ্ম্মতি জুতা প্রস্তুত করিয়া লোকের পদযুগল কণ্টকাদি হইতে রক্ষা করে ; অতএব সে ব্যক্তি সমাজের মহোপকারক। আর নিভৃতে একজন দার্শনিক পণ্ডিত জটিল দুর্বোধ্য দর্শনশাস্ত্র অসুশীলন করিয়া কতকগুলি মানবকপোলকল্পিত জ্ঞানে বিভোর হন ও কাল্পনিক আনন্দে উন্মত্ত হন ; আর সেই সঙ্গে তিনি সংসারের অস্তিত্ব বিস্মৃত হন ; অতএব তিনি সংসারের একজন অপোগ গুক মাত্র । যে বেদান্ত অধ্যয়ন করিয়া লোকে সংসার ত্যাগ করিতে ও বিজয় পান করিতে শিক্ষা করে, সেই বেদান্তের আবার সুখ্যাতি করা উচিত ? সমাজ আর কিরূপে অধঃপাতে যায়, বল ? বিজ্ঞানের মতে দার্শনিক জ্ঞান মাত্রেই কাল্পনিক ও ভ্রমসঙ্কুল, আর বাগড়ম্বরে ও বাক্যালঙ্কারে পূর্ণ ; দর্শনের ভালরূপ পর্য্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও পরিদর্শন নাই এবং পরীক্ষাযন্ত্র ত আদেী নাই ; আছে মাত্র কেবল স্বকপোলকল্পনা ও অনুমান। উহাদের সাহায্যে দার্শনিক পণ্ডিত একটি অপরূপ জ্ঞানবৃহ রচনা করেন এবং তাহাতেই আপনাকে জড়ীভূত করিয়া ফেলেন । বিজ্ঞানের মতে দশনশাস্ত্র মূলে ভ্রান্ত ; ইহার মৌলিক বিশ্বাস গুলি সৰ্ব্বৈব অনুমানসিদ্ধ ; সেজন্য ইহা আদ্যোপান্ত ভ্ৰমেই পরিপূর্ণ। দেখ, যে অট্টালিকার বনিয়াদ মনী, সে অট্টালিকা মন্দ এবং ইহা কদাচ বহুকাল স্থায়ী হইতে পারে না । সেইরূপ দর্শনের বনিয়াদ মন্দ, ইহা কতকগুলি অনুমানসিদ্ধ প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত ; অতএব ইহা কি প্রকারে বহুকাল স্থায়ী হইতে পারে ? দর্শন বস্তর যে সকল মৌলিক গুণ নির্দেশ করে বা প্রকৃতির আদ্যস্তর যেরূপভাবে বর্ণন করে, বিজ্ঞান তাহ কস্মিনকালে গ্রাহ্য করিতে পারে না এবং এক তুড়িতে তাহা উড়াইয়া দিতে চেষ্টা পায়। সেজন্য বিজ্ঞান দর্শনপ্রতিপাদিত ঈশ্বর, আত্মা, পরলোক, অতীন্দ্রিয়জ্ঞান প্রভৃতি কিছুই মানে না । ” বিজ্ঞান সদৰ্পে ও সাহঙ্কারে দর্শনের উপর উপহাস করিয়া বলে, “রে ভ্রান্তদর্শন ! ত্রিংশ শতাব্দি বাপিয়া তুমি যে মানবমনকে চালাইযা আসিলে, 食