পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“তত্ত্ববিদ্যাকর্তৃক জড়বিজ্ঞানের দোষোদঘাটন।” জড়বিজ্ঞানের এত আস্ফালন, এত বাস্বাস্ফোট সত্বেও আজ আবার আমাদের কর্ণকুহরে কি অপরূপ কথা শ্রত হয় । তত্ত্ববিদ্যা (Theosophy ) জড়বিজ্ঞানসম্বন্ধে যে সকল মতামত প্রকাশ করে, তাহাও সকলের শ্রবণীয় । এস্থলে তাহারই ঈষৎ আভাস দেওয়া কৰ্ত্তব্য । জড়বিজ্ঞান যাবতীয় স্থলপদার্থের ইন্দ্রিয়গ্ৰtহ বহিস্তরের গুণাগুণ পুখানুপুঙ্খরূপে ও সুশৃঙ্খলতার সহিত নির্দেশ করে, প্রকৃষ্টপদ্ধতিতে উহাদের শ্রেণীবিভাগ করে এবং উহাদের উপর যে সকল জড়শক্তির ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া অনুক্ষণ প্রকটত, তাহাদের ভৌতিকনিয়মাবলি সোৎসাহে ব্যাখ্যান করে ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বিজ্ঞান স্থলপদার্থের ইঞ্জিয়গ্রাহ বাহস্তরট অমুশীলন করে মাত্র এবং উহার আভ্যন্তরিণ সুহ্মস্তর একেবারে অস্বীকার করে। ইহার মতে সূক্ষ্ম পদার্থের অস্তিত্ব আদে নাই ; যাহা কিছু আমরা পঞ্চেন্দ্রিয়যোগে অনুভব করি, তাহারই প্রকৃত অস্তিত্ব আছে ; তদ্ভিন্ন সকলই ইহার মতে বিরাট শূন্তময় । এই সূক্ষ্মপদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করে না বলিয়া বিজ্ঞান জড়পদার্থের আদ্যস্তরবর্ণনকালে মহৎ গোলযোগে পতিত ; তৎকালে বালকদিগের কাণমাছি খেলার দ্যায় ইহা নিৰ্মীলিতাক্ষ হইয়া অন্ধকারে হস্তপ্রসারণ করিতে থাকে মাত্র এবং পদার্থের বাস্তবরূপটী ধরিতে একেবারে অসমর্থ হয় । বিজ্ঞান বুঝিতে পারে না, জড়পদার্থের যে স্তরটা পঞ্চেঞ্জিয়ের বিষয়ীভূত নয়, তাহ অতীব সুন্ম ও অতীন্দ্রিয়জ্ঞানসাপেক্ষ। এই অতীন্দ্রিয় স্বল্পপদার্থের অস্তিত্ব অস্বীকার করাতে বিজ্ঞান জগতের কোন বস্তুর প্রকৃত কারণ নির্দেশ করিতে পারে না এবং সকল সময়ে পদার্থের ইঞ্জিয়গ্রাহ স্থলস্তর পর্য্যালোচনা করায় বিজ্ঞান আজকাল সম্পূর্ণ জড়বাদী । জড়বাদীর মতে জগতে কেবল জড় ও জড়শক্তি বিদ্যমান এবং তদ্ভিন্ন কিছুই নাই। দেখ, বিজ্ঞান আকাশ বা ইথরের ( Ether ) অস্তিত্ব মানিয়া লয় ; কিন্তু ইহা যে আমাদের ইঞ্জিয় গ্রাহ নয় ও অতীন্দ্রিয় সূক্ষ্মপদার্থ, তাহা বিজ্ঞান বুঝিতে অক্ষম। বিজ্ঞানের জড়বাদিত্বই অনেক