পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

্যডৈলঢ ঐলগঝ রগ ওশগজ1931

[ ৩৬ ) অনর্থের মূল। ইহারই জষ্ঠ, বিজ্ঞান আজ দর্শন ও ধৰ্ম্মের উপর খড়গহস্ত এবং কালক্রমে ইহাতে মানবসমাজের প্রভূত অনিষ্ট্রোৎপত্তি হইবে । এ জগতের নিয়ম এই যে, যাহা একদিকে অন্ধকারাবৃত, তাঁহাই আবার অপরদিকে আলোকে উদ্ভাসিত এবং যাহা একদিকে স্থূল, তাহাই আবার অপরদিকে স্বল্প। সেজন্য বলা উচিত, এই স্থলজগতের মূলে স্বগা বা অধ্যাত্ম্যজগৎ বর্তমান এবং স্থলপদার্থ মাত্রেই স্বরূপদার্থের সহিত অপরিহার্য্যরূপে জড়িত। মনে কর, একটা জলমগ্ন শৈল সমুদ্র হইতে উত্থিত। এস্থলে ইহার নিম্নভাগ সমুদ্রজলে নিমগ্ন এবং উপরিভাগটা দৃষ্টিগোচর মাত্র । এখন ইহার উদ্ধভাগটা আমাদের নয়নগোচর হয় বলিয়া আমরা কি ইহার জলনিমগ্ন ংশের অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে পারি? সেইরূপ স্থলজগতের যে অংশটুকু আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত, আমরা কি কেবল সেই অংশটুকুর অস্তিত্ব স্বীকার করিব, আর উহার মূলে যে স্থা, শ্রেষ্ঠ অংশ বিদ্যমান, তাহার অস্তিত্ব আমরা স্বীকার কবিব না ? সেই স্বক্ষ অংশটুকু এখন আমা“দের ইন্দ্রিয়গ্রাহ নয় এবং কবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ হইবে, তাহাও আমরা জানি না । সত্যবটে, সেই স্বক্ষয় অংশটুকু একমাত্র অতীন্দ্রিয়জ্ঞানসাপেক্ষ এবং মহাত্মাগণের দিব্য চক্ষে প্রতিভাত হয়, তথাচ আমরা কলিযুগের মানব হইলেও সেই স্বক্ষ অংশের অস্তিত্ব এখন আমরা অনুমানবলে স্বীকার করিয়া লই । কিন্তু জড়বাদী প্রত্যক্ষদর্শীবিজ্ঞান সেই স্বগ্ন অংশের অস্তিত্ব আদৌ স্বীকার করে না এবং উহাকে কাল্পনিক বলিয়া উড়াইয়া দেয়। যখন পুরাকালের অধ্যাত্মবিজ্ঞান ও দর্শন এ বিষয়টা স্পষ্ট নির্দেশ করে এবং আমরাও এখন অনুমানবলে উহ বুঝিতে পারি, তখন ভ্রমসম্বুলমানববিরচিত জড়বিজ্ঞানের একমাত্র কথা গ্রাহ করা আমাদের কদাচ উচিত নহে। এন্থলে অতীন্দ্রির স্বক্ষপদার্থ ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ স্থলপদার্থের যথার্থ প্রভেদ কি, তাহা নির্দেশ করা কৰ্ত্তব্য। সকলেই জানেন, ইন্দ্রিয়গণ মনের দ্বারস্বরূপ । এ সংসারে আমরা পঞ্চেস্ক্রিয়যোগে বাহবস্তুর জ্ঞানলাভ করি । তন্মধ্যে যে বস্তু এখন ইঞ্জিয়গণের বিষয়ীভূত, তাহাই আমাদের নিকট স্থূল, আর ধৈ বস্তু বা বস্তুর যে স্তরটুকু এখন উহাদের অবিষয়ীভূত, তাহাই আমাদের নিকট স্বক্ষ । এ মন্বন্তরে আমরা পঞ্চেস্ক্রিয়যোগে বাহ্যজগতের সস্থিত