পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭૧ ] সম্বদ্ধ ; সেজন্ত এখন যে বস্তু বা বস্তুর যে স্তর আমাদের নিকট স্বপ্ন, হয়ত পর মম্বস্তরে তাহা স্থল হইবে। যে আকাশের গুণাগুণ আমরা এখন আদে৷ জানি না এবং যাহা আমাদের নিকট বিরাট শূন্ত বলিয়া প্রতীয়মান হয়, পর মন্বস্তরে যখন মানবের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ফুরিত হইবে, তখন আকাশ তাহার নিকট বায়ুর ন্তায় ইন্দ্রিয়গ্রাহ হইয়া স্থল হইবে। স্থলস্থক্ষ্মের প্রভেদ চিরদিন এইরূপে বিচার করা যায়। ofs (TR, EASA ( Oxygen ) 8 ETSA ( Hydrogen ) Etat বিনিৰ্ম্মিত উদক অন্তর্নিহিত উত্তাপের তারতম্যানুসারে বাষ্প, জল ও বরফ এই তিন অবস্থা প্রাপ্ত হয়। তন্মধ্যে বাষ্প সুহ্ম, জল স্থল ও বরফ স্থলতম । এস্থলে সূক্ষ্মী শব্দের অর্থ অন্ত রূপ ; কারণ বাষ্পরূপ জলের অবস্থাটা আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ, সেজন্য উহা স্থম্ম নয় ; কিন্তু উহা প্রকৃত স্থল। উপরে যে স্বক্ষ পদার্থের কথা উল্লিখিত হইল, তাহ অতীন্দিয় পদার্থ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়াতীত । এ মন্বস্তরে আমরা সে পদার্থের গুণাগুণ আদেী বিচার করিতে পারি না । সুক্ষ ও স্থল পদার্থের মধ্যে এক অনতিক্রম্য গণ্ডী ব্যবহিত। এ গণ্ডী পার হইবার ক্ষমতা সাধারণ মানবের নাই। যেমন পরলোক ও ইহলোকের মধ্যে এক অনতিক্রম্য গণ্ডী ব্যবহিত, স্থলস্থক্ষে্যুর সম্বন্ধ ঠিক তদনুরূপ। এ দেহ ধারণ করিয়া কেহ পরলোকের বিষয় অবগত হইতে পারেন না । সেইরূপ এ সংসারেও কেহ স্বক্ষ পদার্থ নয়নগোচর করেন না । চৰ্ম্মচক্ষুর কথা ছাড়িয়া দেও, স্বক্ষদেশী অনুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা তুমি স্থলপদার্থকে সহস্রবার দেখ, তুমি উহার কেবল স্থলরূপটা দেখিতে পাও ; কিন্তু উহার মূলে যে হুক্ষ্যরূপ বিদ্যমান, তাহা তুমি আদৌ দেখিতে পাও না। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের শক্তি সহস্র গুণ বৰ্দ্ধিত কর অথবা উহ। অপেক্ষা আরও স্বক্ষদেশী যন্ত্র উদ্ভাবন কর, তুমি অতীন্দ্রিয় স্বল্প পদার্থ সম্বন্ধে চিরদিন যে তিমিরে সেই তিমিরে থা ক, একজন রাসায়নিক পণ্ডিত পরীক্ষাগারে জড়পদার্থের গুণাগুণ পরীক্ষায় নিযুক্ত হইয়া বহুদূর অগ্রসর হন ; কিন্তু যখনু তিনি অনতিক্রম্য গণ্ডীর সম্মুখে উপস্থিত হন, তখন তিনি চলৎশক্তি রহিত হইয়া ক্ষুন্নমনে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি কুপন্থ ভেকের স্তায় সামান্ত কুপকে পৃথিবী জ্ঞান করেন এবং বস্তুর অনতিক্রম্য গণ্ডীর বহির্ভাগে যে কিছু বর্তমান আছে, তাহা তিনি আদৌ