পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ съ } বুঝিতে পারেন না। তিনি নিজের বুদ্ধিভ্রংশবশতঃ মনে করেন, আমি বস্তুর আদ্যস্তর প্রাপ্ত হইলাম। যথার্থ বলিতে কি, জড়বিজ্ঞান বস্তুর গুণ নির্দেশে এতদূর অtসিয়া হতবম্ব হয়। কিন্তু অধ্যাত্মবিজ্ঞান সেই অনতিক্রম্য গণ্ডী ভেদ করিয়া বস্তুর স্বক্ষ স্তর অন্বেষণ করিতে করিতে আরও অগ্রসর হয়। যে মহাত্মা যোগবলে স্বীয় আত্মায় অতীন্দ্রিয় জ্ঞান প্রস্ফুরিত করিতে সমর্থ হন , তিনিই ইহসংসার হইতে স্বক্ষয় জগতের বিষয় কথঞ্চিৎ অবগত হন । আমরা এই কলিযুগের অধমাধম মানব ; আমাদের জীবাত্মা এখন সৰ্ব্বতোভাবে স্থলে জড়িত এবং সম্পূর্ণরূপে জড়ত্বে পরিপূর্ণ ; আমাদের মনে কিরূপে অতীন্দ্রিয়জ্ঞান স্ফুরিত হইতে পারে? আমরা এখন কেবল অনুমান করিয়া লই, যে স্বক্ষয় অতীন্দ্রিয় পদার্থ সকল বস্তুর মূলে বর্তমান । দেখ, এই স্থলদেহের মূলে স্বক্ষয় মন কিরূপ বিরাজমান ? এই মনের অস্তিত্ববশতই দেহ অনন্তচিন্তায় চিন্তিত ও অনন্ত চেষ্টায় চেষ্টাম্বিত। ইহার শুক্ররেণুর ক্ষমতাও অপরূপ, যাহার বলে পিতামাতার মানসিক ও শারীরিক প্রকৃতি পুত্রে সম্যক প্রতিফলিত হয় । এস্থলে স্থলস্থক্ষের যোগাযোগ অত্যাশ্চৰ্য্য। সেইরূপ পৃথিৰীস্থ যাবতীয় পদার্থে স্থলম্বন্মের অতভূত যোগাযোগ বিদ্যমান। ভ্রান্তবিজ্ঞান এ কথা বুঝিতে পারে না বলিয়া আমরা যে উহারই কথা একমাত্র শিরোধাৰ্য্য করিব, তাহা কদাচ হইতে পারে না। হিন্দুশাস্ত্রমতে স্থলজগৎ সূক্ষ্যজগতের পরিণতি বা বিকৃতি । অতীন্দ্রিয় স্বক্ষণুজগত্তই ক্রমবিবৰ্ত্তনে প্রপঞ্চীকৃত হইয়াও আকারবিশিষ্ট হইয়া ইন্দ্রিয়গ্রাহ স্থলজগতে পরিণত। তত্ত্ববিদ্যাও হিন্দুশাস্থের এই উন্নতমতের সম্পূর্ণ পোষকত করে। স্বক্ষা হইতে স্থলের উৎপত্তি, পরিণতি বা বিকায়, ইহা হিন্দুধর্শের একটা জলন্ত সত্য। এ মহাসত্য যাবচ্চন্দ্রদিবাকর কাচ মিথ্য হইবার নয়। জলবুদিগণ জলে উখিত এবং জলেই লয় প্রাপ্ত জড়हुिआश्नब्र মতামতও সেইরূপ কালে সমুখিত হয় এবং কালেই লয় প্রাপ্ত হয়। দিয়ানজগতে অঙ্গে এক নুগুন মত প্রচারিত হয়, দশদিন পরে উহা আবার শুণ্ডিত হয় । কিন্তু অধ্যtঝুধিজ্ঞানের মত কস্মিনকালে খণ্ডিত হইবার নয়। ইহার প্রিয়পুত্র, সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মের সত্য ও কস্মিনকালে লয় পাইবার নয়।