পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ও ৯ ] লোকের বুদ্ধিশক্তি যখন যেরূপ বিকাসিত ইহার মহাসত্য গুলি তাহার সেইরূপ বুঝিতে সক্ষম। & আধুনিক তথাকথিত উন্নত জড়বিজ্ঞান জড় ও শক্তি লইয়া বিশ্বরচন প্রতিপাদন করে । এগন যদি বিজ্ঞানকে জিজ্ঞাস করা যায়, যে সকল ভৌতিক পদার্থের সংযোজনে ও বিয়োজনে এ জগৎ স্বল্প ও নিৰ্ম্মিত, সেই সকল ভৌতিক পদার্থ ( Elements. ) কোথা হইতে আইসে ? এ কথার বিজ্ঞানের একমাত্র উত্তর এই যে, এ সকল ভৌতিক পদার্থ অনাদি ; যেমন ইহাদের মৃত্যু নাই, ইহারা অবিনশ্বর ; সেইরূপ ইহারা অনাদি কাল হইতে প্রচলিত ; যদি বিজ্ঞানকে আরও পীড়াপীড়ি করা যায়, ইহাদের স্বাক্টকৰ্ত্ত কে ? তখন বিজ্ঞানের একমাত্র উত্তর, সে কথা জানিবার কাহারও আবশুকতা নাই ; ইহারা অনাদিকাল হইতে বিদ্যমান, এই পৰ্য্যস্ত জানাই সকলের পক্ষে যথেষ্ট । পরমাণুবাদের অবতারণা করিয়া বিজ্ঞান জড়পদার্থের আদ্যস্তর ব্যাখ্যান করিয়া থাকে। ইহার মতে যে সকল ভৌতিকপদার্থের সংযোগে ও বিয়োগে ব্ৰহ্মাণ্ডের যাবতীয় পদার্থ নিৰ্ম্মিত, উহাদের পরমাণুপুঞ্জ জড়শক্তি দ্বারা চালিত হইয়া কোথাও সংযোজিত, কোথাও বা বিয়োজিত, কোথাও ংঘটিত, কোথাও বা বিঘাটত। পরমাণুরাশিই জড়বস্তুর আদ্যস্তর। কিন্তু পরমাণুগুলি আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের আয়ত্বে আইসে নাই ; উহার এখনও অতি তীক্ষ অনুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা দৃষ্ট হয় নাই। বস্তুতঃ পরমাণু আছে কি না, তাহাই সন্দেহের বিষয় । অনেকে মনে করেন, এই মতটী বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতদিগের সৰ্ব্বৈব অনুমানসিদ্ধ। যে বিজ্ঞান দর্শনের মতামতকে অনুমানসিদ্ধ বলিয়া উহার উপর উপহাস করে, সেই বিজ্ঞান জড়বস্তুর অাদ্যস্তর বর্ণনে নিজে অনুমানের সাহায্যু লয়। যে স্থলে অধ্যাত্মবিজ্ঞান ও দর্শন স্থলপদার্থের মূলে হুক্ষ অতীক্রিয় পদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া স্থলপদার্থের আদ্যস্তর সম্যক ব্যাখ্যান করে, সে স্থলে আধুনিক জড়বাদী জড়-বিজ্ঞান জড়পদার্থের মূলদেশ পরমাণুপুঞ্জ দ্বারা অধিকৃত স্বীকার করিয়া জড়পদার্থের আদ্যস্তর শ+গণন করিতে প্রয়াস পায়। বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ বলেন, যেমন