পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so ) কোন সুগন্ধদ্রব্যের অনু গুলি আকাশে মিলিত হইয়া বায়ুর তরঙ্গ যোগে নাশাভ্যন্তরে প্রবেশ করে ও তথায় ব্ৰাণেজিয়ের স্নায়ুসংঘর্ষে মস্তিক্ষে ভ্ৰাণোৎপাদন করে এবং সেই সূক্ষ্যাতিস্থ ক্ষয় অমুগুলি যদিও কোন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের আয়ত্ত্বে আইসে নাই, তথাচ উহাদের অস্তিত্ব আমরা ভ্ৰাণেন্দ্রিয়যোগে সম্যক অনুভব করি ; সেইরূপ যাবতীয় ভৌতিক পদার্থের স্বক্ষাতিস্তক্ষয় পরমাণু রাশি সম্পূর্ণরূপে আমাদের অদৃশু হঠলেও উহাদের একত্র সমাবেশও সমবায় দ্বারা জগতের যাবতীয় পদার্থ নিৰ্ম্মিত ও বিরচিত। যে সকল জড়শক্তি দ্বারা জড়জগৎ চালিত, সেই সকল জড়শক্তি ঐ সকল ভৌতিক পদার্থের পরমাণুরাশির উপর নিজ নিজ প্রতাপ ও ক্রিয়া অমুক্ষণ প্রকটিত করে । இம் পরমাণুবাদ সত্য হউক বা মিথ্যা হউক, জড়বস্তুর অাদ্যস্তর বর্ণনে বিজ্ঞানের সকল দৰ্প চূর্ণ। পরমাণুবাদের সাহায্য লইয়াও জড়বাদী বিজ্ঞান জডুজগতের আদ্যস্তর-সম্বন্ধে যথার্থ মত প্রকাশ করিতে সমর্থ হয় নাই। প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তির মনে এই মত পাঠে কদাচ তৃপ্তি বোধ হয় না। যোগী ও মহাত্মাগণ এ কথা শ্রবণে হান্ত সম্বরণ করেন না । আরও দেখা যায়, এক বিজ্ঞানশাস্ত্র পরমাণুগুলির গুণ আবিষ্ঠকমত একরূপ নির্দেশ করে এবং অন্ত বিজ্ঞানশাস্ত্র নিজের আবশ্যকতামুযায়ী উহাদের গুণ অন্তরূপ নির্দেশ করে। কেহ বলেন, উহার অবিভাজ্য ; কেহ বা বলেন, উহারা অবিভাজ্য ও স্থিতিস্থাপক ; যে বস্তু অবিভাজ্য, সে বস্তু কদাচ স্থিতিস্থাপক হইতে পারে না। এইরূপ এক বিষয় লইয়াই বিজ্ঞানজগতে নানা মুনির নানা মত প্রচলিত। ইহাতেই বোধ হয়, বিজ্ঞানের পরমাণুবাদ অসম্পূর্ণ । 聽 সেইরূপ, যে সকল ভৌতিক শক্তি দ্বারা জড়জগৎ অহরহ চালিত, “ষাঙ্গাদিগের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও ঘাত প্রতিঘাত জড়বস্তুর উপর নিয়ত দৃষ্ট হয়, তাহীদের প্রকৃত স্বরূপ জড়বিজ্ঞান স্পষ্টরূপ নির্দেশ করিতে পারে ন। ইহার মতে উহারা চিৎ-শক্তিরহিত অচেতন অন্ধ জড়শক্তি, কেবল জড়পদার্থের সংযোগে উহাদের ক্রিয়া জড়জগতে প্রকটিত । মাধ্যাকর্ষণ, যোগাকর্ষণ, রাসায়নিকাকর্ষণ, চুম্বকাকর্ষণ, উত্তাপ, আলোক, তড়িৎ প্রভৃতি