পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 8२ ] যে উহারা অসভ্যযুগের জড়োপাসনার চিত্ত্ব। কিন্তু অধ্যায়ুবিজ্ঞানের মতে উহারাই ভৌতিক শক্তির মূলদেশ অধিকার করিয়া আছেন। পুরাকালে দেবত্তাদিগের উপর লোকের সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিল ; এখন একেশ্বরবাদপ্রচলনের সঙ্গে উহাদের পরিবর্তে লৌকিক ঈশ্বরে বিশ্বাস প্রবল হইয়াছে ; এখন আবার সভ্য জগতে জড়বিজ্ঞানের অভু্যখানে ঈশ্বরের পরিবর্তে অন্ধ জড়শক্তির উপর বিশ্বাস অধিকাংশ লোকের মনে ক্রমশ: বদ্ধমূল হইতেছে । এখন জীবদেহ সম্বন্ধে জড়বিজ্ঞানকে দুই একটী কথা জিজ্ঞাসা করা যাউক । সকলেই জানেন, জীবদেহে যতদিন প্রাণ অবস্থিতি করে, ততদিন জীব সংসারে জীবিত থাকিয়া অনন্ত কৰ্ম্মে ব্যাপৃত হয় এবং যে মুহূৰ্ত্তে প্রাণ জীবদেহ হইতে বহির্গত হয়, সেই মুহূৰ্ত্তে ইহা মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এখন প্রাণ শব্দের প্রকৃত অর্থ কি ? জনসাধারণের বিশ্বাস,- যে ইহা . এক প্রকার বায়ুবিশেষ। নিশ্বাস প্রশ্বাসযোগে যতক্ষণ এ বায়ু শরীরাভ্যন্তরে প্রবেশ করে, ততক্ষণ প্রাণ জীবদেহে বর্তমান থাকে এবং যখন শ্বাসরুদ্ধ হইয়া যায়, তখনই জীবের মৃত্যু উপস্থিত হয়। বায়ুর সহিত জীবনের ঘনিষ্ঠসম্বন্ধবশতঃই লোকে ঐক্কপ ভাবিয়া থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের ব্যাখ্যান অন্তরূপ ! 牵 জড়জগং ব্যাখ্যান করিবার সময় যেমন জড়বিজ্ঞান পরমাণুপুঞ্জের অস্তিত্ব স্বীকার করে, সেইরূপ জীবদেহের ক্রিয়া ব্যাখ্যান · করিবার সময় বিজ্ঞান জীবাণুপুঞ্জের আশ্রশ্ন লয়। এই সকল জীবাণু ( ('ells ) বিজ্ঞান অণুবীক্ষণযন্ত্রযোগে দর্শন ও করে। ইহার প্রটোপ্লালম নামক ( Protoplasm জৈবনিকপদার্থে পূর্ণ এবং জৈবনিকশক্তিসম্পন্ন। এখন প্রটোপ্লাসমে জীবনীশক্তি কোথা হইতে আইসে, বিজ্ঞান তাহ স্পষ্টরূপ নির্দেশ করিতে পাৱে না। যেমন পরমাণুরাশি পুঞ্জীকৃত হইয়া জড়বস্তু নিৰ্ম্মিত, সেইরূপ জীবাণুরাশিও পুঞ্জীকৃত হইয়া জীবদেহ বিরচিত। এখন যে জীবাণুপুর একত্রিত হইয়া জীবদেহ নিৰ্ম্মাণ করে, উহাদিগের জৈবনিকশক্তির সমষ্টি সমগ্র জীবদেহের প্রাণ। এই প্রাণ জীবের সমস্ত শরীরে অভিব্যাপ্ত। এখন জীবজগতে যে জীব যত উন্নতপদবীতে অধিরূঢ়, উহার দেহস্থ যন্ত্রগুলি তত জটিল এবং উহাদের পরস্পর সম্বন্ধও তত ঘনিষ্ঠ। এ কারণে উৎকৃষ্ট