পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

c [ 8७ ] জীবের মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের ক্রিয়া যতদিন সমভাবে চালিত ও ধি গুদ্ধ রক্ত সৰ্ব্বশরীরে সমভাবে বহমান, ততদিন ঐ জীবদেহ জীবনসম্বন্ধীয় কতকগুলি রাসায়নিক, ভৌতিক ও মানসিক ক্রিয়া প্রদর্শন পূর্বক প্রকৃতিজগতের উপর আধিপত্য করে। কিন্তু যখন উপরোক্ত যন্ত্রগুলির অসাধ্য ক্রিয়াবৈলক্ষণ্য উপস্থিত হয় এবং শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় শোণিত বিশুদ্ধ হষ্টতে পায় না, তখনই সমস্ত দেহের ক্রিয়া রহিত হইয়া যায় এবং উহার জীবনীশক্তি লুপ্ত হয় ; তৎকালে প্রকৃতিজগৎ উহার উপর আধিপত্য প্রদর্শন করতঃ উহার পরমাণুপুঞ্জকে বিশ্লিষ্ট করিয়া দেয় । জীবদেহে যে শোণিত সৰ্ব্বত্র প্রবাহিত হয়, তাহ সার ও অসার বস্তুতে পরিপূর্ণ। উহা হইতেই যন্ত্রস্থ জীবাণুগুলি স্ব স্ব প্রয়োজনীয় সার বস্তু গ্রহণ করে এবং ক্রিয়াঘটিত আসার পদার্থগুলি উহাতেই প্রক্ষেপ করে। ফুসফুসে অঙ্গারজনপূর্ণ অপবিত্র শোণিত বায়ুর অন্নজনযোগে বিশুদ্ধ হয়। নিশ্বাস দ্বারা বহির্জগতের বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং অপবিত্র শোণিতকে পবিত্র করে এবং প্রশ্বাস দ্বারা অপবিত্র বায়ু ফুসফুস হইতে নিঃস্থত হয় । শোণিতশোধনের জন্য বায়ু এত্ত আবশ্যক বলিয়া শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হইলেই মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং লোকে প্রাণকে বায়ুস্বরূপ জ্ঞান করে। হৃৎপিণ্ড নিজসঙ্কোচন দ্বারা অপবিত্র শোণিতকে শোধনাৰ্থ ফুসফুসে প্রেরণ কবে এবং পবিত্র শোণিতকে জীবনীক্রিয়ানিৰ্ব্বাহার্থে সৰ্ব্বশরীরে প্রেরণ করে ; এজন্য যেইমাত্র হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়, সমস্ত শরীর অচল হয় ও মৃত্যু উপস্থিত হয়। এইরূপ দেহের প্রত্যেক যন্ত্র জীবনীক্রিয়ানিৰ্ব্বাহীর্থ বিশেষ আবিশুক । দেহস্থ যন্ত্রগুলির ক্রিয়া সম্পাদিত হইয়া কিরূপে শরীরের পোষণ, বৰ্দ্ধন ও নাশ হয়. তাহা বিজ্ঞান সম্যক ব্যt t্যান করিতে প্রয়াস প্রায় বটে, কিন্তু জৈবনিকশক্তি কিরূপ, তাহা ইহা স্পষ্ট নির্দেশ করিতে পারে না এবং কেবলমাত্র স্থলদেহ পরীক্ষা করিয়া বা শবব্যবচ্ছেদ করিয়া তাহা জানা যায় না । পূৰ্ব্বে শারীরবিধানবিৎ পণ্ডিতগণ মনে করিতেন, যে দেহের জৈবনিকশক্তি বৈশেষিক ; কিন্তু তাহারা আজকাল উহাকে রাসায়নিক ও ভৌতিকশক্তি হইতে জানে পৃথকভান করেন না। বেদান্তমতে লীৰ বা জৈবনিক