পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 86 জড়বিজ্ঞান সাহঙ্কারে উপদেশ দেয়, যে কতকগুলি অপরিবর্তনশীল ভৌতিক নিয়ম দ্বারাই এ জগৎ পরিচালিত । কিন্তু স্থলবিশেষে এমন অলৌকিক ও অত্যাশ্চৰ্য্য ঘটনা দেখা যায়, যাহা বিজ্ঞান স্ব।বিষ্কৃত ভৌতিক নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যান করিতে অসমর্থ। যোগীরা যোগবলে শূন্তে উখিত হন, এক মাসকাল অনশনে থাকিয়া ও জীবনধারণ করেন, ভূগর্ভে প্রোথিত হইয়া ও এক মাদ পরে পুনরুজ্জীবিত হন, এবং অতীন্দ্রিয় দর্শন ও পরকায়াপ্রবেশাদি নানা অলৌকিকক্রিয়া প্রদর্শন করেন । বিজ্ঞান এ সকল অলৌকিক ঘটনাকে এক তুড়িতে উড়াইয়া দেয় বটে, কিন্তু উহাদের ব্যাখ্যান করিতে ইহা অসমর্থ। অনেকেই ত দেখিয়া থাকেন, কত ক ত মহাত্মা যোগবলে কিরূপ লোকাতিগক্ষম তা প্রদর্শন করেন । এ সকল প্রবঞ্চকের কার্য্য বলিয়া বিজ্ঞান অবজ্ঞা করে ; কারণ উহাদিগকে ব্যাখ্যান করিলে, বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত ভৌতিকনিয়মাবলি কিয়ৎপরিমাণে মিথ্যা হয় । যাহা হউক, এখন সভ্যজগতে জড়বিজ্ঞানেরই সমাদর ও প্রতিপত্তি এবং অধ্যায়ুবিজ্ঞান নামে মাত্র পর্য্যবসিত । এখন জিজ্ঞাস্ত, সভ্যজগতে জড়বিজ্ঞানের এত প্রাদুর্ভাব ও এত সমাদর কেন ? কেনই বা লোকে ইহার মোহিনীমূদ্ভদর্শনে এত বিমুগ্ধ ? এই কলিযুগে মানবের আধ্যায়িক গব যাহা কিছু অবশিষ্ট, তাহ ক্রমশঃ লুপ্ত হইবে এবং তৎপরিবর্তে আধিভৌতিক তার উন্নতি হইবে ও স্থলত্বেরই চরমপরিণতি হইবে ; ইহাই প্রকৃতি জগতের আখ গুনীয় নিয়ম । এ জগতে কোন প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যত্যয় নাই । অতএব যে জড়বি জ্ঞান কেবল মানবসমাজের আধিভৌতিক উন্নতিসাধক, এখন উহারই এত গৌরব ও সমাদর! এখন সকলে উহার বাহ চাকচিক্যদর্শনে মুগ্ধ হইয়া উহাকে সৰ্ব্বশ্ৰেষ্ঠ বিদ্যা বলিয়া পূরক এবং উহারই উপদেশ শিরোধাৰ্য্য করে। আধুনিক বিদ্যাজগতে জড়বিজ্ঞানের যেরূপ অমুশীলন ও সন্মান, তাহাতে বোধ হয়, ইহাই জগতে একাধিপত্য কুরিবে। ইহারই গুণে মানবের আধিভৌতিকতার চরম উন্নতিসাধন হইবে এবং সেই সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যৎকিঞ্চিৎ যাহা অবশিষ্ট, তাহা একেবারে লুপ্ত হইবে। যে স্রোত খরবেগে বহমান, সেই স্রোতে তুমি, আমি, সকলেই সমভাবে বাহমান। কলিযুগে