পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 84 1 বহুবিস্তৃত হইলে পর, ধৰ্ম্মজীবন মহাত্মা ঈশ ছন্দভিস্বরে সেই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট একেশ্বরবাদ প্রচার করত: তদৰ্থে নিজ প্রাণ অস্থিতি দিয়া যান । তাহারই শিষ্যামুশিষ্যদিগের উৎসাহে ও যত্নে তৎপ্রচারিত ধৰ্ম্ম কালক্রমে পাশ্চাত্যজগতে প্রবল হয় । সেইরূপ মহম্মদ ও প্রাচ্যজগতে একেশ্বরবাদ প্রচার করেন । এইরূপ নানামত বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ প্রকাশ করেন তাহারা মানবের জাতীয় ইতিহাস অন্বেষণ করিয়া ঐ সকল সিদ্ধাস্ত করেন । কিন্তু অধ্যাত্মবিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতের উপরোক্ত মত খণ্ডন করত: বলেন, যে অধ্যায়বিজ্ঞানের জ্যোতিঃপ্রাপ্ত হইয়াই যোগসিদ্ধ ধৰ্ম্মপ্রবর্তকগণ দেশে দেশে নুতন নুতন ধৰ্ম্মমত প্রচার করেন এবং দার্শনিক পণ্ডিতগণও মানবজীবনের কুট প্রশ্নসম্বন্ধে নুতন নুতন মত প্রচার করেন । যাহা হউক, বিজ্ঞানের মত সত্য, কি অধ্যাত্মবিজ্ঞানের মত সত্য, তাহা এস্থলে সমালোচনা করিবার প্রয়োজন নাই। ধৰ্ম্মের সহিত দর্শনের সম্বন্ধ অতীব ঘনিষ্ঠ, ইহা সৰ্ব্ববাদি সম্মত । আয়ার অস্তিত্ব ও অবিনশ্বরত্ব, পরলোক ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং তৎকর্তৃক জগতের অধিনায়কত্ব প্রভৃতি মানবধন্মের উৎকৃষ্ট মতামত গুলি উন্নতদর্শনশাস্ত্রসন্মত। এখন ঐ সকল শ্রেষ্ঠ মতামত সৰ্ব্ববাদিসন্মত এবং খ্ৰীষ্ট প্রভৃতি শ্রেষ্ঠধর্মের প্রধান অঙ্গস্বরূপ। এমন কি, ঈশ্বর ও পরলোকে বিশ্বাসই আধুনিক উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মের মূলভিত্তি। দর্শনের সহিত বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে বিবাদবিসংবাদ থাকায়, শেষোক্তটী এখন দর্শনপ্রতিপাদিত মানবধৰ্ম্মের উপর খড়গহস্ত এবং উহার সমূলোৎপাটনে ব্যগ্র । সভ্যজগতে আজকাল মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতগণ কেবল নাস্তিক মত প্রচার করেন। তাহারা ঈশ্বর, আত্মা ও পরলোক, কিছুই মানেন না। একমাত্র জড় ও শক্তি র্তাহাদের উপাস্ত দেবতা এবং চাঙ্গুস প্রমাণই তাহাদের উপদেবতা। র্তাহীদের মতে সংসারে ধৰ্ম্মও নাই, অধৰ্ম্মও নাই, কেবল সমাজে বসবাসবশতঃ মানবের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মজ্ঞান ও বিবেক উখিত। সত্য বটে, তাহার প্রকৃতির নানা বিভাগে অত্যাশ্চৰ্য্য আবিষ্কার করিয়া প্রকৃতৃিজগতে অগাধ নিৰ্মাণকৌশল ও অত্যন্থত সামঞ্জস্ত দেখান ; কিন্তু