পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 89 | দুঃখের বিষয়, বিজ্ঞানশাস্ত্রের কোন পংক্তিতে বিশ্বরচয়িত ঈশ্বরের নামোল্লেখ নাই । তাহারা ভাবেন, এত অত্যুজ্জলবিজ্ঞানালোকের মধ্যে ঈশ্বরের নামোল্লেখ মানবের দুৰ্ব্বলতাপরিচায়ক এবং ঈশ্বরস্থানে তাহার। আজকাল একমাত্র অন্ধ জড়শক্তির প্রাধান্ত স্বীকার করেন । কোন কোন বিজ্ঞানবিং পণ্ডিত ঈশ্বরকে বিশ্বের অজ্ঞেয় আদি কারণ স্বীকার করেন বটে ; কিন্তু যখন এই বিশ্বসংসার কতকগুলি অপরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে স্ব৪ ও পরিচালিত, তখন ঈশ্বরকে মানিবার কি প্রয়োজন ? যখন তিনি এ সংসারে সাক্ষীগোপালমাত্র, তখন তাহার আরাধনা বা গুণকীৰ্ত্তন করিবার কি প্রয়োজন ? তাহারা বলেন, জু বল মানব নিজের অজ্ঞান তাবশতঃ, নিজের কুসংস্কারবশতঃ বিপদে পতি ত হইলেই ঈশ্বরকে ডাকিয়া থাকেন। কিন্তু এখন আমরা বিদ্যাবলে বলীয়ান ও বিজ্ঞানবলে বলীয়ান ; বিপদে পতিত হই, বিপদের প্রতিকার করিব ; কেন মিছে ঈশ্বরকে ডাকিয়া জিহব। অপবিত্র করি 1 ? বরং লোকের কুসংস্কার দূর করিবার জন্ত তাহীদের মন হইতে ঈশ্বরকে বিতাড়ি ই করিতে চেষ্টা পাইব । র্তাহারা এখন ঈশ্বর মানেন না বটে ; কিন্তু তাহদের নিকট জড়, শক্তি ও অন্ধদৈবই ধৰ্ম্মের উপাস্য ত্রিমূৰ্ত্তি । “According to Science, the holy Creative Trinity is inert matter, senseless Force and blind Chance.” Seeret Doctrine. এখন তাহারা ঐ উপাস্ত ত্রিমূৰ্ত্তির ষোড়শোপচারে পূজা করেন এবং র্তাহীদের শাস্ত্রগ্রন্থে উহাদের গুণানুবাদ ও গুণকীৰ্ত্তন পূর্ণভাবে বিকাশিত । তাহারা বলেন, বিশ্বব্যাপারে জড়শক্তিই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা ; ইহ। বর্তীত অন্ত কোনরূপ চিৎশক্তি নাই, যাহার নিকট আমাদের মস্ত ক আ ন ত করা উচিত । এবংবিধ জড়পাদ নাস্তিক মতামত পাশ্চাত্যজগতে প্রচারিত হওয়ায়, অল্পদিনের ভিতর তথায় প্রভূত অনিষ্টেtৎপত্তি হইতে আরম্ভ হইয়াছে । সভ্যজগতে অfজকাল অধিকাংশ কৃতবিদ্যলোক খ্ৰীষ্টধর্মের মতামতের উপর সন্মিগ্ধ ; এমন কি, তাহারা ধৰ্ম্মের মূলোৎপাটনে ব্য গ্র ; তজ্জন্ত ধৰ্ম্মযাজক