পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ so I দিগের যৎকিঞ্চিৎ ক্ষমতা এখনও সমাজে বাহ অবশিষ্ট, তাহ সঙ্কুচিত করিতে র্তাহারা বদ্ধপরিকর । এদেশে ও তাহাদের সুশিক্ষিত শিষ্যগণ গানোর ( Ganot ) এক পৃষ্ঠা পাঠ করিয়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন । যাহা হউক, বিজ্ঞানোপদিষ্ট নাস্তিক মতামত জগতে বহুবিস্তু ত হইলে, ধৰ্ম্মসম্বন্ধে মানবসমাজে দে যুগান্তর উপস্থিত হইবে, তদ্বিযয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। তখনই বোধ হয়, শাস্ত্রোল্লিখিত ঘোর কলি দোর্দণ্ডপ্রতাপে স্বরাজ্য বিস্তার কfরবে। এ সকল তাহারই পূৰ্ব্বস্ব ত্রপাত মাত্র। এ স্থলে জিজ্ঞাস্ত, বিজ্ঞান কি যথার্থতঃ মানবধন্মের সমূলোৎপাটন করিতে সক্ষম হইবে ? বিজ্ঞান সম্প্রদায়বিশেষের বৈশেষিক মতামত খণ্ডন করিতে পারে, অথবা স্থলবিশেষে দর্শনপ্রতিপাদিত মান লধৰ্ম্মের মৌলিক মতামতের উপর অবিশ্বাস বা সন্দেহ করিতে পারে . কিন্তু সে প্রাকৃতিক বা সামাজিক ধৰ্ম্ম সকল মানবধৰ্ম্মের মূলে নিহিত, বিজ্ঞান উহার কদাচ বিপক্ষতাচরণ করিতে পরিবে না । মানবসমাজের শৈশবাবস্থা হইতে আবহমানকাল যে সনাতন প্রাকৃতিক ও সামাজিক ধৰ্ম্ম চালিত এবং যাহা উহার স্থায়িত্বের সঙ্গে অপরিহার্য্যরূপে জড়িত, সে ধৰ্ম্মেব নিকট বিজ্ঞান দুগ্ধপোল্য বালক মাত্র । বিজ্ঞান সে ধর্মের কোনরূপ অনিষ্টসাধন করিতে পারিবে না ; বরং উহার অনিষ্টসাধনে কৃতসঙ্কল্প হয়, বিজ্ঞান নিজে কালকবলিত হইবে । আসার খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের কতকগুলি মতামত থ গুন করে বলিয়া বিজ্ঞান সনাতন প্রাকৃতিক ধৰ্ম্মের সমূলোৎচ্ছেদসাধন করিতে সক্ষম, এরূপ যাহারা বিবেচনা করেন, তাহারা প্রকৃততত্ত্বদশী নন। যে ধৰ্ম্ম মানবসমাজের অস্থিমজ্জায় নিহিত, যে ধৰ্ম্মনাশে সমাজধ্বংস অবশ্যম্ভাবী, বিজ্ঞান সে ধৰ্ম্মের কি অনিষ্টতাচরণ করিবে ? যদি বিজ্ঞান উহার প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হয়, বিজ্ঞান স্বয়ং লোকসমাজে অবজ্ঞাত ও ঘৃণিত হইবে । চিরকালই ত নাস্তিকমত সমাজে প্রচলিত ; তাহাতেই বা সমাজের কি ক্ষতি ? সকল স্থলেই দেখা যায়, নাস্তিকগণ মৃত্যুকালে একবার ঈশ্বর ডাকিয়া যান। বিজ্ঞান ঈশ্বর, আত্মা ও পরলোক ন মানিতে পারে ; কিন্তু সামাজিক ধৰ্ম্মের নিকট ইহা চিরদিন নতশির । চুরি করা বা নরহত্যা করা সমাজের