পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ¢२ ] মায়াশব্দের দ্বিতীয় অর্থে মহামোহ বুঝায়, যtহ ছেদন করা মনের পক্ষে একেবারে সম্পূর্ণরূপ অসাধ্য। পরমহংস হউন, যোগী হউন, গৃহস্থ হউন, এ মহামায়ার মহা বন্ধন মানব কস্মিনকালে এ জগতে ছেদন করিতে পারেন না। যতদিন তিনি স্থলদেহ ধারণ করিয়া ইহলোকে বা জীবনের এই সমতল CoCo (this plane of existence ) {}ogoso AfgR5 fifts; Hof সম্বদ্ধ হইয়া বিচরণ করেন, ততদিন যে মহামায়ার মহাবরণে তিনি মুগ্ধ, সে মহাবরণ তিনি কদাচ ভেদ করিতে পারেন না। এ মহামায় তাহার অস্তিত্বের মূলে সংলগ্ন। এ স্থলদেহ সৰ্ব্বজ্ঞ মায়াতীত আত্মার মায়াদেহ মাত্র। এ মায়াদেহে নিবদ্ধ হইলেই আত্মা মায়ামুগ্ধ হয় এবং বাস্তব পদার্থ বুঝিতে পারে না । এ মায়াদেহ ত্যাগ করিলে, ইহসংসারের যাবুতীয় মায়tঞ্জান হইতে আত্মা ও নিমুক্ত হয় । এজন্য বিশ্বব্যাপারের ঘাহা কিছু আমাদের নয়নগোচর হয়, তৎসমুদায়ই মিথ্যাজ্ঞানসস্তুত, তাহ সংবৃতিমূলক ( relative ) ; কিন্তু বস্তুত: উহারা কি, উহাদের বাস্তবরূপ কি, তাহ আমরা অবগত নহি: এবং কস্মিনকালে অবগত হইব না। l এই যে অন্ধকারে পথে যাইতে যাইতে তুমি একখণ্ড রজ্জ্ব অবলোকন করতঃ সর্পভ্রমে ভয়বিহবল হইয়৷ পশ্চাৎপদ হও, পরে উহাকে ভালরূপ নিরীক্ষণ করাতে তোমার সর্পভ্রম দূর হয় এবং সেইসঙ্গে তোমার মনও সুস্থির হয় ; এই যে বাষ্পীয় শকটে যাইতে যাইতে তুমি চতুর্দিকস্থ বৃক্ষসমূহকে চলায়মান দেখ,পরে কিঞ্চিং অনুধাবন করিয়া বুঝিতে পার, যে শকটের গতিবশতঃ বৃক্ষ গুলি বিপরীতদিকে চলায়মান ; আবার যখন তুমি ভাবিতে থাক, ধরিত্রী স্বয়ং উহার পৃষ্ঠস্থ যাবতীয় পদার্থ ও চতুদিকস্থ বায়ুরাশি লইয়া ব্যোমমার্গে অমিতবেগে ভ্ৰাম্যমান, তজ্জন্ত প্রত্যহ স্বৰ্য্যকে প্রাতঃকালে, পূৰ্ব্বদিকে উদয় হইতে ও পশ্চিম দিকে অস্ত যাইতে দেখ এবং রাত্রিকালে আকাশস্থ যাবতীয় নক্ষত্রমণ্ডল ধ্রুবতারার চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করিতে দেখ ; এই যে একজন পথিক মরুভূমিতে যাইতে যাইতে পিপাসায় আতুর হইয়া পুরোভাগে জলাশয় দেখে এবং জলপানার্থ যেমন উহার দিকে ধাবমান হয়, অমনি জলাশয়ট আরও দূরে পলায়ন করে ; এখন জিজ্ঞাসা এ সকল দৃষ্ঠপটল তোমার মনে কিরূপ বোধ হয় ? ইহারা কি তোমার মায়ামুগ্ধ মনের মায়াঞ্জান, না ইছারা তোমার