পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७ ] চক্ষের স্বস্তিদর্শন ? চহারা তোমার ভ্রান্তিদর্শন মাত্র এবং কদাচ ময়িক্তিনি নষ্ঠে । এরূপ ভ্রান্তিদর্শনোৎপাদনে যে মহামায়ার কথা উপরে লিখিত, উহার কিছুমাত্র অনুশাসন নাই। এ সকল কেবল আমাদের দর্শনশক্তির ভ্রান্তিমাত্র । অল্পমাত্র জ্ঞান লাভেক্ট এরূপ ভ্রাস্তির অপনোদন হয় । কিন্তু এষ্ট যে অশ্বখ বৃক্ষট যাহ বিশাল ও বড়বিস্কৃত শাখা প্রশাপা লষ্টয়া তোমাব পুরোভাগে দণ্ডায়মান, যাহার প্রতিকৃতি তোমার নয়নাভ্যস্তরে বিপরীতভাবে প্রতিবিম্বিত এবং যাহার রূপ তুমি যাবজ্জীবন একরূপ দেখিয়া থাক, চহা তোমার মায়ামুগ্ধ মনের মায়াজান। প্রকৃতি ঐ বৃক্ষের সহিত তোমার চক্ষু ও মনের যেরূপ সম্বন্ধ স্থিরীকৃত করিয়া দেয়, তাহাতে তুমি উতাকে চিরদিন একরূপ দেখ। আলোক যোগে বৃক্ষটর যেরূপ প্রতিবিম্ব তোমাৰ নয়নদ্বয়ে পতিত হয়, অধ্যাসবশতঃ তুমি উহার চিরপরিচিত রূপটা নয়নগোচর কর এবং বাহ্যজগতে উহার অবস্থিতি অনুভব কর । তুমি কদাচ বলিতে পার না, যে উহার বাস্তবরূপ ঠিক ঐ প্রকার। আবার তুমি ঐ বৃক্ষটী যেমন দেখ, একটা পিপীলিকাও যে উহাকে ঐন্ধপ দেখে, তাহীও তুমি বলিতে পার না । ইহাতে কি বোধ হয় না, যে অশ্বথবুক্ষটর জ্ঞান তোমার মায়াঙ্কান মাত্র ? সেইরূপ এ জগতের যাবতীয় পদার্থের জ্ঞান আমাদের মায়াজান মাত্র । এখন যে মায়ার আবরণে আবৃত হইয়া আমাদের জীবাত্মা এ সংসারে মায়াঙ্কানলাভ করে, তাহাই মহামায়া। এখন মাঘ দ্বারা চালিত হইয়া আমরা বিশ্ব প্রপঞ্চের যে জ্ঞানলাভ করি, BK BBBB BBBBB SBBBBBS BB BBBBB BBBS BBBB মায়াজনিত সত্যজ্ঞান । যতদিন আমরা মায়ায় মুগ্ধ হইয়া এই মায়াময় জগতে অবস্থিতি করি, ততদিন ঐ মায়াজনিত মিথ্যাজ্ঞানই আমাদের নিকট মহাসত | জ্ঞানে পূজিত হয় । এতদ্ভিন্ন আমাদের গত্যন্তর নাই। এ স্থলে জগৎ মায়া- , ময় এবং আমরাও সকলে সমভাবে মায়ামুগ্ধ ; তজ্জন্ত আমরা কদাচ ময়োজনিত. জ্ঞানকে মিথ্য{জ্ঞান বলিয়া জানিতে পারি না। কিন্তু র্যাহারা মহামায়া হইsে মুক্ত, র্তাহাঁদের নিকট আমাদের মায়ণজনিতজ্ঞান মিথ্যাজ্ঞান বলিয়া বিবেচিত হয় । এখন এ সংসারে এমন লোক অতীব বিরল। পরমহংস হউন, যোগী হউন, মহামারার মহামোহ ভেদ করা সকলের পক্ষে সমান অসাধ্য। একমান্ধ.