পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ t ఆ ] করিয়া জীবাত্ম কৰ্ম্মফল হইতে ক্রমশঃ মুক্ত হয়। যতদিন জীবাত্মা ইহসংসারে দেহ ও মনের সহিত সম্বদ্ধ হইয়া বিচরণ করে, ততদিন পঞ্চেন্দ্ৰিয়ই ইহাকে বিশ্বের পঞ্চবিষয় উপভোগ করায় এবং উহাদের জ্ঞানলাভ করায় । যে দিন ঐ সম্বন্ধ নষ্ট হয়, সে দিন এই সংসার সম্বন্ধে ইহার যাবতীয় মায়াজান ও নষ্ট হয় । শাস্ত্র কারের উল্লেখ করেন, কেবলমাত্র নিত্য, নিরঞ্জন, সত্য, সনাতন পরব্রহ্মই মায়াতীত ; তদ্ভিন্ন স্বষ্টিকৰ্ত্ত ব্ৰহ্ম হইতে যাবতীয় লোক মায়ামুগ্ধ। “ব্ৰহ্মাদি তৃণ পর্য্যস্তং মায়য়া কল্পিতং জগৎ” ব্ৰহ্মাদি তৃণ পর্য্যন্ত সমস্ত জগং মায় কর্তৃক বিরচিত। সেজন্ত বলা উচিত দেবলোকের এক প্রকার মায়াঙ্গান, গন্ধৰ্ব্বলোকের অন্ত প্রকার মায়াজান । তাহারা আরও বলেন, ত্রি গুণাত্মিক প্রকৃতিই মহামায়। এবং প্রকৃতির তিনগুণ সত্ত্ব রজস্তম মায়ারই ত্রিগুণ । ংসারের যাবতীয় বস্তু মায়াময় বলিয়া মায়ার ত্রিগুণে আবৃত এবং উহার উত্তম, মধ্যম ও অধম এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত । যাহ মায়াতীত, তাহার স্বষ্টি নাই, বিনাশ নাই, রূপান্তর নাই, পরিবর্তন নাই ; তাহ অনন্তকাল সমভাবে বিদ্যমান। আর যাহ। মায়াময়, তাহারই ক্ষণে ক্ষণে রূপান্তর, ' পরিবর্তন, হ্রাস, ক্ষয় ও ধ্বংস হয় । অদ্বৈতবাদী বৈদাস্তিক পণ্ডিতদিগের মতে ঘাহা সৎ, তাহাই মায়াতীত এবং যাহা অসৎ, তাহ মায়াবিশিষ্ট । একমাত্র পরব্রহ্মই সৎ বা সত্যস্বরূপ, এজন্ত তিনি বেদে ওঁ তৎসৎ ও সচ্চিদানন্দ বলিয়। কথিত । এই বিশ্ব প্রপঞ্চ মায়াময়, এজন্য ইহা অসৎ, ক্ষণে ক্ষণে ইহা পরিবৰ্ত্তিত এবং ইহাতে ত্রিগুণের অনন্তলাল প্রকাশিত । বিশিষ্টাদ্বৈতবাদীদিগের মতে এই কাৰ্য্যকারণত্মক বিশ্বপ্রপঞ্চ, যাহা আমাদের চৰ্ম্মচক্ষের সমক্ষে প্রত্যক্ষীভূত, তাহাই সৎ বা সত্যস্বরূপ ; আর যে সকল বিষয় প্রত্যক্ষ হয় না, তাহাই অসৎ বা মিথ্যা । সৎ ও অসৎ এই দুইটা শব্দের তাৎপর্য্যে এত পার্থক্য থাকায়, সমগ্র খ্রিস্থান্ত্রে যে কত গোলমােগু উপস্থিত, তাহ এস্থলে বর্ণন করিবার "আঁৰঙ্গকতা নাই। পরব্রহ্মের মহামায়া দুরত্যয় । ইহার অনুশাসন পরিহার করা জীবের অসাধ্য।