পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ¢ १ ] ত্রিভিগুণময়ৈৰ্ভাবৈরেভিঃ সৰ্ব্বমিদং জগৎ মোহিতং নাভিজানাতি মামেভ্য: পরমব্যয়ম্। দেবী হ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দুরত্যয় মামেব যে প্ৰপদ্যন্তে মায়ামে তাং তরন্তি তে । গীতা । “মায়ার ত্রিগুণে সমস্ত জগৎ বিমুগ্ধ, তজ্জন্ত গুণাতীত, মায়াতীত অবিনশ্বর পরমাত্মা যে আমি, অtলাকে কেহ জানিতে পারে না । আমার এই গুণময়ী দৈবী মায়া লোকে অতিকষ্ট্রে পরিহার করে । কেবল , যাহার আমাকে প্রাপ্ত হন, তাহারাই আমার এই মারা হইতে উত্তীর্ণ হন।” যে মহাত্মী অসাধারণ যোগবলে সমাধিস্থ হইয়া মাযামুগ্ধ দেহের চব্বিশ তত্ত্বের ক্রমশঃ লয় সাধন করত; পরব্রহ্মের সহিত নিজ আত্মার মিলন করিতে পারেন, তিনিই সমাধির অবস্থার মায় হইতে বিচ্যুত হন । সমাধি ভঙ্গ হইলেই তিনি ও পূৰ্ব্বের দ্যায় মায়াবিশিষ্ট অবস্থা প্রাপ্ত হন। কলিযুগের কয়জন লোক সেরূপ যোগt ভ্যাস করিতে পারেন, বল ? অৰ্দ্ধঘণ্টার জন্য নিমীলি তাক্ষ হইয়া এক প্রাণে, একধ্যানে ঈশ্বরে চিত্ত সমাহিত করিতে পারিলে, যে তুমি সমাধিস্থ श्ईब মায়ামুক্ত হয়, তাহা কদাচ মনে করিও না । চধিবশতত্ত্বের লয়সাধন করিয়া প্রকৃত সমাধিস্থ হওয়া কত সাধনাসাপেক্ষ, তাহা মহাত্মাগণই জানেন । জীবাত্মা মহামায়া দ্বারা অনস্ত কাল চালিত । কেবল যে ইহসংসারে জীবাত্মা ইহাদ্বারা চালিত, এমন নহে ; অষ্টাদ্য লোকে ও জীবাত্মা ইহাদ্বারা সম্যক পরিচালিত । যখন নিজ কৰ্ম্মফল কর্তৃক চালিত হইয়া জীব জীবনের বিবিধাবস্থাপন্ন ভিন্ন ভিন্ন সমতলক্ষেত্রে বা ভিন্ন ভিন্ন লোকে পরিভ্রমণ করে, তখনও ইহা এই মহামায়া দ্বার চালিত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞানলাভ করিতে থাকে ও ভিন্ন ভিন্ন মুখ ও দুঃখ ভোগ কুরিতে থাকে। যুগযুগান্তরে, কল্পকল্লাস্তরে কোটা কোট বৎসরের পর শিক্ষা ও সংযম দ্বারা ক্রমোন্নত হইয়। যখন জীবাত্ম। পরব্রহ্মে মিলিত হইয়া নিৰ্ব্বাণপদ প্রাপ্ত হয়, তখনই ইহা মহামায়া হইতে একেবারে বিমুক্ত হয় । তদ্ভিন্ন সকল লোকে ও ゲ