পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to J সকল অবস্থায় জীবাত্মা মায়া হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হয় না এবং সুখদুঃখরূপ মহাবৰ্ত্তে পতিত হইয়া ঘুর্ণায়মান হয়। পাঠক ! তুমি আজ কলিযুগে মানবাকারে ইহসংসারে বিচরণ করিয়া ংসারের যাবতীয় পদার্থের একপ্রকার জ্ঞানলাভ করিতেছ এবং তুমি আজ একপ্রকার প্রাকৃতিক নিয়মাবলি দ্বারা চালিত। হয়ত লক্ষ লক্ষ বৎসর পরে তোমারই জীবাত্মা ইহজন্ম বিস্মৃত হইয়া পুনরায় এ জগতে বিচরণ করিবে । তখন তোমার জীবাত্মা বিভিন্নপ্রকার ভৌতিক নিয়মাবলি দ্বারা চালিত হইবে এবং বিভিন্ন প্রকার জ্ঞানলাভ করিবে । কখন বা দেবলোকে, কথন ব৷ তপলোকে, কখন বা জনলোকে, কথন বা সত্যলোকে তোমার জীবাত্মা বিচরণ করিবে এবং সকল অবস্থায় একমাত্র মায়া দ্বারা ইহা চালিত হইবে। সেজন্য সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম আমাদিগকে এই মহাশক্তি মায়াদেবীর নিকট মস্তক অবনত করিতে উপদেশ দেয়। জগদম্বা মহেশ্বরীই মায়াদেবী । এস, আমরা তাহার শ্ৰীচরণকমলে পুপঞ্জলি প্রদান পূৰ্ব্বক সাষ্টাঙ্গে প্রণত হই । * এখন মায়াবাদের উপর আধুনিক উন্নত জড়বিজ্ঞান কিরূপ মতামত প্রকাশ করে, তাহীও সকলের জানা উচিত। বিজ্ঞান মায়াবাদের উপর উপহাস ও বিদ্রুপ করে। ইহার মতে মায়াবাদরূপ কতকগুলি কাল্পনিক জ্ঞানে মানবমনকে বিভোর করিলে, সংসারের অণুমাত্র উপকার নাই বরং উহাদ্বারা ইহার প্রভূত অনিষ্ট সাধন হয় ; কারণ লোকে মায়াবাদ পাঠ করিয়া সংসার উপেক্ষা করিতে শিক্ষা করে মাত্র। অতএব এ সকল মতামত সমাজে যত অপ্রচলিত হয়, সমাজের ততই মঙ্গল । বিজ্ঞানের মতে যে জ্ঞান তুমি মায়াঞ্জান ৰ মিথ্যাজ্ঞান বলিয়া উপেক্ষা করিতে শিক্ষা কর, তাহাই তোমার যথার্থ ও সত্যজ্ঞান এবং উহার উন্নতিতে তোমার উন্নতি ७ीद९ তোমার সমাজের উন্নতি। অতএব সেই যথার্থ জ্ঞান শিক্ষা করাই জীবনের মুখ্যত্রত হওয়া উচিত। সে জ্ঞানকে কি কদাচ মিথ্যাজ্ঞান বলিয়া উপেক্ষ করা যায় ? অধ্যাত্মবিজ্ঞান বলুক, বেদান্ত বলুক, আর যে শাস্ত্র বলুক না কেন, উহাদের বিকৃত উপদেশে কে কৰ্ণপাত করে ? যতদিন তুমি এ জগতে থাক, ততদিন কেবল ঐ মিথ্যা, তথাকথিত মায়াঞ্জান লইয়াই তোমায় থাকিতে