পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ७० ] একমাত্র সত্য ধৰ্ম্ম! তুমিই সংসারে যথার্থ জ্ঞানালোক ও সভ্যতালোক বিতরণ করিতেছ। কিন্তু বল দেখি, জড়বিজ্ঞান আজ তোমার উপর কিরূপ মত প্রকাশ করে ? দেখ এই জড়বিজ্ঞান তোমারই প্রিয়পুত্র, তোমার দ্বারাই ইহ লালিত ও পালিত ; অথচ সেই জড়বিজ্ঞান আজ তোমার শিরচ্ছেদ করিতে খড়গহস্ত । তোমার অলীক কথা শ্রবণে বিজ্ঞান হাস্য সম্বরণ করেন। এবং প্রকাগুভাবে বলে, “তুমি সংসারে গণ্ডমূর্খ বলিয়া এতদিন উপরোক্ত অসত্য প্রচার করিতেছ ; এখন যদি তুমি নিজমঙ্গলপ্রার্থী হও, আমার কথায় কৰ্ণপাত কর এবং নিজের ভ্রমসংশোধন কর।” এস্থলে আর অধিক বলিবার আবশুকতা নাই । স্বষ্টিরহস্যোম্ভেদ করিবার জন্ত, পুরাকালের দর্শনশাস্ত্র যেরূপ যত্নবান, আধুনিক জড়বিজ্ঞানও সেইরূপ যত্নবান । কিন্তু দুঃখের বিষয় ७शे, cय সকল ক্রিয়াপরম্পরা বা ঘটনাপরম্পরা দ্বারা এ জগৎ স্বঃ বা ক্রমবিবৰ্ত্তিত, তাহা ধারাবাহিকরূপে, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে হৃদয়ঙ্গম করা অসম্পূর্ণ মানবমনের সাধ্যাতীত। এ বিষয়ে দর্শনশাস্ত্র অধ্যাত্মবিজ্ঞানের সাহায্যে বহুদূর অগ্রসর হইয়া গুঢ় রহস্তটা বুঝাইবার অনেক প্রয়াস প্রায় ; কিন্তু বিজ্ঞান কিয়ৎ-দুর মাত্র অগ্রসর হইয়াই অন্ধকার ক্রমে গাঢ়তর হইতে দেখিয়া ক্ষুঃমনে প্রত্যাবৰ্ত্তন করে। এ বিষয়ে মনোরথ সিদ্ধ না হওয়ায়, বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিত বলেন, জগৎস্বষ্টি যেরূপ রহস্যময়, একট পরমাণুহুষ্টিও সেইরূপ রহস্যময়, তবে কেন বৃথা চেষ্টা ? কেহ কেহ বলেন, বিশ্বের স্বাক্টও নাই, প্রলয়ও নাই, ইহা অনাদিকাল হইতে চলিত ও অনন্তকালস্থায়ী ; কাল – কৰ্ম্ম-স্বভাব বশতঃ ইহা পরম্পরা চলিত। তাঁহার বলেন, মানবমনের প্রকৃতি যেরূপ, তাহাতে আমরা সকল বিষয়ের আদি অন্বেষণে ব্যগ্ৰ হই বটে, কিন্তু আদি প্রাপ্ত হওয়া আমাদের অসম্ভব। মনে কর, স্বষ্টির পর প্রলয়, প্রলয়ের পর স্বষ্টি ; সেইরূপ স্বষ্টির o পূৰ্ব্বেপ্রলয় প্রলয়ের পূৰ্ব্বে স্বষ্টি ; এরূপ যুক্তিতে আমরা কোন বস্তুর আদ্যন্ত পাই নH অতএব স্বষ্টি অনাদি ও অনন্ত বলাই শ্রেয়। কালের আদিও নাই, অন্তও নাই, ইহা অনাদি ও অনন্ত। ব্ৰহ্মাগুেরও প্রারম্ভ নাই, অস্তুও নাই, ইহা সৰ্ব্বব্যাপী। আকাশেরও সেইরূপ আদিও